বৃহঃস্পতিবার, ৮ই মে ২০২৫, ২৫শে বৈশাখ ১৪৩২ | ই-পেপার
ব্রেকিং নিউজ:
  • সারাদেশে জেলা ও উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আগ্রহী হলে আপনার সিভি ই-মেইল করতে পারেন। ই-মেইল daajkaal@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
  • চীনের তৈরি HQ9 এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম প্রতিরক্ষা কাজে কতটা সক্ষম
  • প্রসেনজিতের মেয়ে প্রেম করছেন, ফুফু বললেন ‘খুব মিষ্টি’
  • ভারতের ২০টিরও বেশি বিমানবন্দর বন্ধ
  • বিশ্ব থ্যালাসেমিয়া দিবস আজ
  • সরকার কেন প্রত্যাশা পূরণ করতে পারছে না
  • সঙ্কটের সময় সর্বদলীয় বৈঠকে মোদি আসছে বড় সিদ্ধান্ত
  • পাকিস্তানি অভিনেত্রীকে দেখতে ভিপিএন কিনছে ভারতীয়রা
  • আ.লীগকে সুবিধা দেওয়ায় ইউনূস সরকারকে একহাত নিলেন হাসনাত
  • গাজায় ইসরায়েলি বর্বরতায় আরও ৫৪ ফিলিস্তিনি নিহত
  • বায়ুদূষণে শীর্ষে দিল্লি, ঢাকার অবস্থান পঞ্চম

‘রেড জোন’ ঘোষণা করে ডিএসসিসির বিশেষ অভিযান

স্টাফ রিপোর্টার

প্রকাশিত:
১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৩:০০

ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছেন, সপ্তাহে কোনো ওয়ার্ডে ১০ জনের বেশি ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হলেই সেই ওয়ার্ডকে রেডজোন হিসেবে চিহ্নিত করে বিশেষ অভিযান চালানো হচ্ছে।

শনিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর জিগাতলায় বিশেষ পরিচ্ছন্নতা অভিযান ও জনসচেতনতা কার্যক্রম পরিদর্শনকালে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন মেয়র তাপস।

মেয়র বলেন, এখন এডিস মশার মৌসুম শেষ পর্যায়ে। তারপরেও আমরা এখনো লক্ষ্য করছি ডেঙ্গু রোগী সংখ্যা নিয়ন্ত্রণের বাইরে রয়েছে। গত ১ সপ্তাহে ১৪ ও ৫৬ নম্বর ওয়ার্ডে ১০ জনের বেশি রোগী শনাক্ত হয়েছে। সেজন্য আমরা এ দুটি ওয়ার্ডে পরিচ্ছন্নতা ও সচেতনতার ব্যাপক কার্যক্রম পরিচালনা করছি।

কোনো ওয়ার্ডে সপ্তাহে ১০ জনের বেশি রোগী পাওয়া গেলেই আমরা সেটিকে লাল চিহ্নিত করছি। এরপর সচেতনতা প্রচারণা ও পরিচ্ছন্নতার চিরুনি অভিযান পরিচালনা করছি। এর আগে পাঁচটি ওয়ার্ডে এমন উদ্যোগ নিয়ে আমরা ভালো ফলাফল পেয়েছি, সেসব এলাকায় রোগী কমে এসেছে। এবার এ দুটি ওয়ার্ড চিহ্নিত করে সবাইকে নিয়ে বাসাবাড়ি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করার কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। এর ফলে আশা করি অচিরেই রোগীর সংখ্যা নেমে আসবে।

তিনি বলেন, গত ১ মাস ধরে দক্ষিণ সিটিতে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। প্রতিনিয়ত সার্বিক পরিস্থিতি তদারকি করা হচ্ছে, এখন দক্ষিণ সিটিতে প্রতিদিন ৫০-৫৪ রোগী শনাক্ত হচ্ছে। আমরা মনে করি এটি নিয়ন্ত্রণে সক্ষম। যেন কোনোভাবেই ডেঙ্গু আর বাড়তে না পারে সেজন্য এ কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাদের পরিচ্ছন্নতাকর্মী ওয়ার্ডভিত্তিক বিন্যাস করা আছে। সাধারণভাবে তারা রাতে কাজ করেন, কিন্তু বিশেষ অভিযানের সময় দিনেও বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে জনবল এনে কাজ করানো হচ্ছে।

আমরা এলাকাবাসীর সাড়া পেয়েছি, সবাই নিজের বাসা-বাড়ি পরিষ্কার রাখছেন। এটাই আমরা চাই, সবাই সচেতনতা নিয়ে নিজ আঙিনা পরিষ্কার রাখবেন, পানি জমতে দেবেন না। প্রতিদিন জমা পানি ফেলে দিলে ঐক্যবদ্ধভাবে সামাজিক আন্দোলনের মাধ্যমে ডেঙ্গু প্রতিরোধ করা সম্ভব।

পরিদর্শন করা একটি সরকারি আবাসনে অপরিষ্কার দেখা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তাপস বলেন, মৌসুমের আগেই আমরা সভা করি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য। তারপরেও আমরা মনে করি যথার্থ ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। থানা, বিশ্ববিদ্যালয়, হাসপাতালগুলো নিজ উদ্যোগে পরিষ্কার করেছি। আশা করি সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো নিজেদের দায়িত্ব আরো ভালোভাবে পালন করবে। আমরা গণপূর্তের আবাসনগুলোতে বিভিন্ন সময় অপরিষ্কার দেখেছি। আশা করবো তারাও নিজ উদ্যোগে এসব পরিষ্কার করবে।

আজকের অভিযানে এখন পর্যন্ত কাউকে জরিমানা করা হয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, আজ এখন পর্যন্ত বেশ কিছু আবাসিক ভবন, নির্মাণাধীন ভবন পরিদর্শন করেছি। এখন পর্যন্ত কোথাও লার্ভা পাইনি।

সবাই সচেতন হলে, নাগরিকরা এগিয়ে এলে এডিস মশা প্রতিরোধ করা সম্ভব বলেও উল্লেখ করেন মেয়র তাপস।


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর