বৃহঃস্পতিবার, ৮ই মে ২০২৫, ২৫শে বৈশাখ ১৪৩২ | ই-পেপার
ব্রেকিং নিউজ:
  • সারাদেশে জেলা ও উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আগ্রহী হলে আপনার সিভি ই-মেইল করতে পারেন। ই-মেইল daajkaal@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
  • চীনের তৈরি HQ9 এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম প্রতিরক্ষা কাজে কতটা সক্ষম
  • প্রসেনজিতের মেয়ে প্রেম করছেন, ফুফু বললেন ‘খুব মিষ্টি’
  • ভারতের ২০টিরও বেশি বিমানবন্দর বন্ধ
  • বিশ্ব থ্যালাসেমিয়া দিবস আজ
  • সরকার কেন প্রত্যাশা পূরণ করতে পারছে না
  • সঙ্কটের সময় সর্বদলীয় বৈঠকে মোদি আসছে বড় সিদ্ধান্ত
  • পাকিস্তানি অভিনেত্রীকে দেখতে ভিপিএন কিনছে ভারতীয়রা
  • আ.লীগকে সুবিধা দেওয়ায় ইউনূস সরকারকে একহাত নিলেন হাসনাত
  • গাজায় ইসরায়েলি বর্বরতায় আরও ৫৪ ফিলিস্তিনি নিহত
  • বায়ুদূষণে শীর্ষে দিল্লি, ঢাকার অবস্থান পঞ্চম

বিদেশে দক্ষ শ্রমিক পাঠাতে কেন পিছিয়ে বাংলাদেশ

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত:
৭ মে ২০২৫, ১৫:২১

বিশ্বের অন্য দেশের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে জনশক্তি পাঠানোয় এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। সরকারি হিসেব মতে, বিশ্বের ১৬৮ দেশে প্রায় দেড় কোটি প্রবাসী বাংলাদেশি রয়েছেন। যাদের অধিকাংশই কাজের জন্য গিয়েছেন। এই বিপুল সংখ্যক প্রবাসীর পাঠানো রেমিট্যান্সে সচল ও গতিশীল থাকে দেশের অর্থনীতি।

তবে বিপুল সংখ্যক প্রবাসীর অধিকাংশই অদক্ষ কিংবা আধা দক্ষ। ফলে অন্যান্য দেশের তুলনায় বেশি শ্রমিক পাঠানোর পরেও শ্রমবাজারগুলোতে কম বেতনে চাকরি করতে হচ্ছে প্রবাসীদের।
তাই অভিবাসন বিশেষজ্ঞরা নানান সময়ে দক্ষ জনশক্তি তৈরিতে সরকারকে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য তাগাদা দেন। কিন্তু সেই তাগাদা কাগজ কলমের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে।

কারণ প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অধীন সরকারি কারিগরি প্রশিক্ষণগুলো বিদেশ গমনেচ্ছুদের দক্ষ করতে তেমন ভূমিকা রাখতে পারছে না। এ ছাড়া শ্রমবাজার নিয়ে গবেষণা করার নিয়ম থাকলেও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সেদিকে খেয়াল থাকে না। ফলে যতই দিন যাচ্ছে ততই বিদেশে দক্ষ শ্রমিক পাঠাতে ব্যর্থ হচ্ছে বাংলাদেশ।
রিফিউজি অ্যান্ড মাইগ্রেটরি মুভমেন্টস রিসার্চের (রামরু) এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, সর্বশেষ ২০২৪ সালে কাজের উদ্দেশ্যে বিদেশে যান ১০ লাখ ১১ হাজার ৯৬৯ জন বাংলাদেশি।

তাদের মধ্যে দক্ষ কর্মীর সংখ্যা দুই লাখ ১৪ হাজার ৪৪ জন, যা মোট শ্রমবাজারের ২৩ দশমিক ৬২ শতাংশ। পেশাজীবী হিসেবে পাড়ি জমিয়েছেন ৪১ হাজার ৬২১ জন, যা মোট শ্রমবাজারের চার দশমিক ৫৯ শতাংশ। স্বল্প দক্ষ কর্মী হিসেবে বিদেশে গেছেন চার লাখ ৯১ হাজার ৪৮০ জন বা ৫৪ দশমিক ২৩ শতাংশ। অর্থাৎ মোট জনশক্তি রপ্তানির অর্ধেকের বেশি স্বল্প দক্ষ হিসেবে বিদেশে গেছেন। এছাড়া আধা-দক্ষ কর্মী হিসেবে বিদেশে গেছেন এক লাখ ৫৯ হাজার ১২৮ জন বা ১৭ দশমিক ৫৬ শতাংশ।

অভিবাসন বিশেষজ্ঞদের মতে, আমাদের ট্রেনিং সেন্টারগুলো (টিটিসি) মান্ধাতার আমলের। ফলে সেখানে পর্যাপ্ত শিখন ব্যবস্থা ও দক্ষ প্রশিক্ষকের অভাব রয়েছে। যেসব প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় সেটাও ফলপ্রসূ হয় না। টিটিসিগুলো বাইরের শ্রমবাজার অনুযায়ী যুগোপযোগী কাজ শেখাতে পারে না। এগুলো আমাদের দেশের কাজের জন্যই দক্ষ করে তুলতে পারে না, বাইরের দেশে তো দূরের কথা। পর্যালোচনা করে দেখা যাবে গত কয়েক বছরে শুধু ভবনই উঠেছে। দক্ষ শ্রমিক তৈরি হয়নি। ভালো প্রশিক্ষকও তৈরি হয়নি। অথচ সরকার চাইলে বিদেশি শ্রমবাজার উপযোগী শ্রমিক তৈরি করতে পারে। প্রয়োজনে পেশাদার প্রশিক্ষক আনতে পারে।’

দক্ষ শ্রমিক তৈরিতে অভিবাসন বিশেষজ্ঞরা বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা শ্রমিকদের জন্য যে কারিকুলাম তৈরি করেছে সেটি অনুযায়ী প্রশিক্ষণ ব্যবস্থা গড়ে তোলার জন্য তাগিদ দিয়েছেন। এ ছাড়া মধ্যপ্রাচ্য, এশিয়া, ইউরোপভিত্তিক শ্রমবাজার নিয়ে গবেষণা করতে হবে। ওইসব দেশের চাহিদা অনুযায়ী প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে। বেশি শ্রমিক না পাঠিয়ে অল্প শ্রমিক পাঠিয়ে তাদের বেতন ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর