বৃহঃস্পতিবার, ৮ই মে ২০২৫, ২৫শে বৈশাখ ১৪৩২ | ই-পেপার
ব্রেকিং নিউজ:
  • সারাদেশে জেলা ও উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আগ্রহী হলে আপনার সিভি ই-মেইল করতে পারেন। ই-মেইল daajkaal@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
  • চীনের তৈরি HQ9 এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম প্রতিরক্ষা কাজে কতটা সক্ষম
  • প্রসেনজিতের মেয়ে প্রেম করছেন, ফুফু বললেন ‘খুব মিষ্টি’
  • ভারতের ২০টিরও বেশি বিমানবন্দর বন্ধ
  • বিশ্ব থ্যালাসেমিয়া দিবস আজ
  • সরকার কেন প্রত্যাশা পূরণ করতে পারছে না
  • সঙ্কটের সময় সর্বদলীয় বৈঠকে মোদি আসছে বড় সিদ্ধান্ত
  • পাকিস্তানি অভিনেত্রীকে দেখতে ভিপিএন কিনছে ভারতীয়রা
  • আ.লীগকে সুবিধা দেওয়ায় ইউনূস সরকারকে একহাত নিলেন হাসনাত
  • গাজায় ইসরায়েলি বর্বরতায় আরও ৫৪ ফিলিস্তিনি নিহত
  • বায়ুদূষণে শীর্ষে দিল্লি, ঢাকার অবস্থান পঞ্চম

বিএনপি নেতাকে পিটিয়ে এলাকাছাড়া করার হুমকি ছাত্রদল নেতার

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত:
৬ মে ২০২৫, ১৬:১০

কলারোয়ার পৌরসভার সাবেক মেয়র ও বর্তমান সাতক্ষীরা জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক গাজী আক্তারুল ইসলামকে পিটিয়ে এলাকা থেকে বিতাড়িত করার ঘোষণা দিয়েছেন ছাত্রদল নেতা জিএম সোহেল।

সোমবার (৫ মে) কলারোয়া পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডের নবগঠিত সার্চ কমিটির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্যে তিনি এই হুমকি দেন।

কলারোয়া পৌর ছাত্রদলের সদস্য সচিব জিএম সোহেল বলেন, 'আজ আমি কোনো রাজনৈতিক বক্তব্য দেব না। যারা এই কলারোয়ার নব রাজনীতির সূচনা করতে যাচ্ছে, ডিমের কুসুম থেকে বের হয়ে ৫ আগস্ট পরবর্তী জেলখানা থেকে এসে যারা এই কলারোয়ায় আওয়ামী মার্কা রাজনীতি পরিচালনা করতে যাচ্ছেন। দ্যর্থহীন কণ্ঠে বলে দিতে চাই, কলারোয়া ছাত্রদল কলারোয়ার সাবেক মেয়রকে প্রতিরোধ করার জন্য যথেষ্ট।'

এলাকাছাড়া করা হুমকি দিয়ে তিনি বলেন, 'ছাত্রদল যদি মনে করে আপনাকে (মো. আক্তারুল ইসলাম) ৫ ঘণ্টার মধ্যে কলারোয়া থেকে বিতাড়িত করে দেবে ইনশাআল্লাহ। কলারোয়ার সাবেক মেয়র ৯ বছর পৌরসভায় ছিল। বিএনপির একটি লোকও কি উপকৃত হয়েছে? আমার নেত্রী, আমার মা খালেদা জিয়ার নামে সে একটি ব্যানার ধরেছে? তার নেতাকর্মীরা ধরেছে? বিগত আন্দোলনে সাবেক মেয়রের নেতাকর্মীরা কলারোয়ার কোথাও কোনো অবস্থান নিয়েছিল?'

জিএম সোহেল আরও বলেন, 'কলারোয়ার সাবেক মেয়র আওয়ামী লীগের সঙ্গে মিলেমিশে ঠিকাদারি ব্যবসা পরিচালনা করেছে। আমরা কিন্তু সবকিছুই জানি। দেশ নায়ক তারেক রহমানের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত বলে আমরা ধৈর্যের পরীক্ষা দিচ্ছি। আমরা কিন্তু এতোটা ধৈর্যশীলও না।'

এ ছাত্রদল নেতা বলেন, ওই কালোবিড়াল কলারোয়ার নব রাজনীতির কুলাঙ্গার, ওই স্বপনের সঙ্গে আতাত করে সর্বশেষ কলারোয়া পৌরসভার ভোটে নির্বাচিত হওয়ার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু, কলারোয়াবাসী সেই ষড়যন্ত্র বুঝতে পেরে লাল কার্ড দেখিয়েছিল। সময় আছে, এখনো সঠিক পথে ফিরে আসুন। বাবা এবং সন্তানের পার্থক্য, অভিজ্ঞতার পার্থক্য বুঝতে চেষ্টা করেন। নতুবা পিটিয়ে কলারোয়া থেকে ছাড়িয়ে (বের করে) দেব।'

ছাত্রদল নেতার এই ধরণের বিতর্কিত বক্তব্যের পর তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। তারা বলেন, শেখ হাসিনার গাড়িবহরের মিথ্যা মামলায় মেয়র আক্তারুল দীর্ঘ সাড়ে চার বছর জেলে ছিলেন। ২০১১ এবং ২০১৫ সালে মেয়র নির্বাচনে নির্বাচিত হলেও আওয়ামী লীগ তাকে পুরো মেয়াদে দায়িত্ব পালন করতে দেয়নি। আক্তারুল কলারোয়া উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতিও ছিলেন। তার সম্পর্কে অযাচিত মিথ্যা এবং ভুল তথ্য সরবরাহ করে বক্তব্য দেওয়া অনাকাঙ্খিত। তার মতো জনপ্রিয় নেতাকে পিটিয়ে এলাকা ছাড়ার ঘোষণায় সবাই ক্ষুব্ধ হয়েছেন।

 

 


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর