প্রকাশিত:
৬ মে ২০২৫, ১৪:৫৮
কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন পর্যটক নিহতের ঘটনায় ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। দেশ দুইটির বাহিনীর মধ্যে কাশ্মীরে নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর টানা ১১ রাত ধরে গোলাগুলি হয়েছে। এ ছাড়া ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষাসহ নিজেদের বাহিনীর শক্তি প্রদর্শন করছে উভয় দেশ।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এমন পরিস্থিতির মধ্যে মঙ্গলবার সকালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দেখা করলেন দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল।
এর আগে ভারতের কেন্দ্র সরকার দেশটির বেশ কয়েকটি রাজ্যকে নিরাপত্তা মহড়া চালানোর নির্দেশ দিয়েছে। সোমবার ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় বুধবার (৭ মে) যুদ্ধ পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য এ মহড়ার নির্দেশ দিয়েছে। এতে সাধারণ মানুষকেও মহড়া দেওয়া হবে।
এনডিটিভি বলছে, দেশ দুইটির চরম উত্তেজনাকর পরিস্থিতির মধ্যে এই মুহূর্তে ভারত সরকারের এই পদক্ষেপের তাৎপর্য গভীর। এর কারণ, ভারতে সর্বশেষ এমন মহড়া হয়েছিল ১৯৭১ সালে। সেইসময় ভারত ও পাকিস্তান দুই ফ্রন্টে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছিল। তখন ভারতজুড়ে সতর্কতা জারি ছিল।
কাশ্মীরে হামলার পর নরেন্দ্র মোদি এবং দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং পাকিস্তান ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে কড়া বার্তা দিয়েছেন। মোদি হুঁশিয়ার বার্তা দিয়েছেন যে, যারা এই ষড়যন্ত্র করেছে বা হামলা চালিয়েছে তারা কল্পনাতীত শাস্তি পাবে।
ইতোমধ্যে মোদি দেশটির তিন বাহিনীর প্রধানদের সঙ্গে একাধিক বৈঠক করেছেন। তিনি কাশ্মীরে হামলার বদলা নিতে সশস্ত্র বাহিনীকে পালটা আক্রমণের পূর্ণ স্বাধীনতাও দিয়েছেন। সর্বশেষ মোদির সঙ্গে দেখা করলেন অজিত দোভাল।
এরইমধ্যে খবর চাউর হয়েছে, যেকোনো সময় পাকিস্তানে অভিযান চালাতে পারে ভারত।
মন্তব্য করুন: