বৃহঃস্পতিবার, ৮ই মে ২০২৫, ২৫শে বৈশাখ ১৪৩২ | ই-পেপার
ব্রেকিং নিউজ:
  • সারাদেশে জেলা ও উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আগ্রহী হলে আপনার সিভি ই-মেইল করতে পারেন। ই-মেইল daajkaal@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
  • চীনের তৈরি HQ9 এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম প্রতিরক্ষা কাজে কতটা সক্ষম
  • প্রসেনজিতের মেয়ে প্রেম করছেন, ফুফু বললেন ‘খুব মিষ্টি’
  • ভারতের ২০টিরও বেশি বিমানবন্দর বন্ধ
  • বিশ্ব থ্যালাসেমিয়া দিবস আজ
  • সরকার কেন প্রত্যাশা পূরণ করতে পারছে না
  • সঙ্কটের সময় সর্বদলীয় বৈঠকে মোদি আসছে বড় সিদ্ধান্ত
  • পাকিস্তানি অভিনেত্রীকে দেখতে ভিপিএন কিনছে ভারতীয়রা
  • আ.লীগকে সুবিধা দেওয়ায় ইউনূস সরকারকে একহাত নিলেন হাসনাত
  • গাজায় ইসরায়েলি বর্বরতায় আরও ৫৪ ফিলিস্তিনি নিহত
  • বায়ুদূষণে শীর্ষে দিল্লি, ঢাকার অবস্থান পঞ্চম

জাকারবার্গ

সামাজিক নিঃসঙ্গতায় এআই হতে পারে সহচর বিকল্প নয়

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত:
৫ মে ২০২৫, ১৩:৫০

সম্প্রতি ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন প্রযুক্তি বিশ্লেষক দ্বারকেশ প্যাটেলের এক পডকাস্টে মেটার সিইও মার্ক জাকারবার্গ এক গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উত্তর দিলেন। প্রশ্নটি হল কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) কি মানুষের সম্পর্ককে পুরোপুরি প্রতিস্থাপন করতে পারে?

এ বিষয়ে জাকারবার্গ বলেন, প্রযুক্তি আমাদের দৈনন্দিন যোগাযোগের ধরন বদলে দিচ্ছে, এবং এখন এই প্রশ্নটি আর কল্পনার মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। বাস্তবেই এর মুখোমুখি হওয়ার সময় এসেছে।

তিনি তুলে ধরেন, কীভাবে মানুষ এআই-কে মানসিক সমর্থন, পরামর্শ, এমনকি বন্ধুত্বের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করছে, যা শুধু প্রযুক্তি নয় বরং সমাজ ও মনস্তত্ত্বেও গভীর প্রভাব ফেলছে।

জাকারবার্গ বলেন, এআই এখন কেবল সহায়ক প্রযুক্তি নয়, বরং এটি মানুষের জীবনে আরও গভীরভাবে প্রবেশ করেছে। চ্যাটবট, ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট থেকে শুরু করে রেপ্লিকা, ক্যারেক্টার.এআই, এমনকি মেটার নিজস্ব এআই ফিচারও অনেকেই মানসিক সহায়তায় ব্যবহার করছেন।

তার মতে, মানুষের আচরণ বিশ্লেষণ করেই বোঝা যায়, কীভাবে এআই এখন প্রেমিক-প্রেমিকার ঝামেলা বা অফিসের সংবেদনশীল আলোচনায় সহায়তা করছে। যদিও তা সম্পর্কের বিকল্প নয়, বরং সম্পর্ককে সহায়ক ও সমৃদ্ধ করছে।

তিনি বলেন, অনেক মানুষ আজ সামাজিকভাবে বিচ্ছিন্ন বা নিঃসঙ্গতায় ভোগেন। সেখানে এআই আংশিক সহায়তা দিতে পারে, কিন্তু তা কখনওই বাস্তব মানবিক সম্পর্কের জায়গা নিতে পারবে না।

এআই-র ব্যক্তিগতকরণ মানুষের সঙ্গে তার সম্পর্ককে আরও গভীর ও বিশ্বস্ত করে তুলছে, কারণ এটি ব্যবহারকারীর আবেগ ও প্রতিক্রিয়ার ভিত্তিতে সেবা দিতে পারে। তবে এর সঙ্গে কিছু গুরুত্বপূর্ণ নৈতিক প্রশ্নও জড়িত, যেমন ব্যক্তিগত তথ্যের গোপনীয়তা ও মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর এর প্রভাব।

জাকারবার্গ জানান, মেটা ভবিষ্যতে এআই-ভিত্তিক সামাজিক ফিচার আরও বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে। বিশেষ করে ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, হোয়াটসঅ্যাপ এবং মেটাভার্স প্ল্যাটফর্মে মানসিক সহায়তা ও বুদ্ধিমত্তা ব্যবস্থাকে উন্নত করার দিকে মনোযোগ দিচ্ছে।


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর