বৃহঃস্পতিবার, ৮ই মে ২০২৫, ২৫শে বৈশাখ ১৪৩২ | ই-পেপার
ব্রেকিং নিউজ:
  • সারাদেশে জেলা ও উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আগ্রহী হলে আপনার সিভি ই-মেইল করতে পারেন। ই-মেইল daajkaal@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
  • চীনের তৈরি HQ9 এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম প্রতিরক্ষা কাজে কতটা সক্ষম
  • প্রসেনজিতের মেয়ে প্রেম করছেন, ফুফু বললেন ‘খুব মিষ্টি’
  • ভারতের ২০টিরও বেশি বিমানবন্দর বন্ধ
  • বিশ্ব থ্যালাসেমিয়া দিবস আজ
  • সরকার কেন প্রত্যাশা পূরণ করতে পারছে না
  • সঙ্কটের সময় সর্বদলীয় বৈঠকে মোদি আসছে বড় সিদ্ধান্ত
  • পাকিস্তানি অভিনেত্রীকে দেখতে ভিপিএন কিনছে ভারতীয়রা
  • আ.লীগকে সুবিধা দেওয়ায় ইউনূস সরকারকে একহাত নিলেন হাসনাত
  • গাজায় ইসরায়েলি বর্বরতায় আরও ৫৪ ফিলিস্তিনি নিহত
  • বায়ুদূষণে শীর্ষে দিল্লি, ঢাকার অবস্থান পঞ্চম

প্রাকৃতিক মসলা হলুদেই মিলছে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের উপায়

জীবনযাপন ডেস্ক

প্রকাশিত:
৩ মে ২০২৫, ১৭:৩৮

রান্নাঘরের সহজলভ্য ও পরিচিত মসলা হলুদ টাইপ ২ ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। গবেষণায় উঠে এসেছে, হলুদের সক্রিয় উপাদান কারকিউমিন রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা কমাতে এবং বিপাকক্রিয়া উন্নত করতে মেটাফর্মিন ওষুধের মতোই কার্যকর।

মার্কিন পুষ্টি ও কিটো ডায়েট বিশেষজ্ঞ ড. এরিক বার্গ জানান, “কারকিউমিন লিভারে গ্লুকোজ উৎপাদন হ্রাস করে এবং ইনসুলিন সেনসিটিভিটি বাড়ায়, যা রক্তে চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।” মেটাফর্মিনও একইভাবে কাজ করে-লিভারে গ্লুকোজ তৈরি কমিয়ে ইনসুলিনের প্রতিক্রিয়া বৃদ্ধি করে।

কারকিউমিনের অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট গুণ ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স কমাতে সাহায্য করে। এটি গ্লুকোজ পরিবহনে সহায়ক প্রোটিন-এর কার্যক্রম বাড়িয়ে রক্তে গ্লুকোজ নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখে।

টাইপ ২ ডায়াবেটিস এমন একটি দীর্ঘমেয়াদি রোগ, যেখানে শরীর ইনসুলিন যথাযথভাবে তৈরি বা ব্যবহার করতে পারে না, যার ফলে রক্তে গ্লুকোজ বেড়ে যায়। এই পরিস্থিতি হার্ট, কিডনি এবং নার্ভের ক্ষতির ঝুঁকি বাড়ায়।

গবেষণায় দেখা গেছে, কারকিউমিন ইনসুলিন তৈরির জন্য দায়ী বিটা সেলের কার্যকারিতা বাড়াতে এবং গ্লুকোজ বিপাকে গুরুত্বপূর্ণ এনজাইম এএমপিকে সক্রিয় করতে পারে। একই সঙ্গে এটি প্রদাহ হ্রাস করে হৃদযন্ত্রকেও সুরক্ষা দিতে পারে।

ন্যাশনাল ইনস্টিটিউটস অব হেলথ-এর এক গবেষণায় বলা হয়েছে, কারকিউমিন রক্তে গ্লুকোজ হ্রাস এবং মেটাবলিক প্রোফাইল উন্নত করতে সক্ষম। ২০১৯ ও ২০২৪ সালের একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে, কারকিউমিন ও মেটাফর্মিন একত্রে ব্যবহার করলে ডায়াবেটিক রোগীর লিপিড প্রোফাইল উন্নত হয় এবং এনএএফএলডি (ফ্যাটি লিভার) নিয়ন্ত্রণেও ইতিবাচক প্রভাব ফেলে।

এছাড়া কিছু গবেষণায় কারকিউমিনের কোলেস্টেরল কমানোর সক্ষমতা স্ট্যাটিন ওষুধের সঙ্গে তুলনীয় বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।

যদিও কারকিউমিন একটি প্রাকৃতিক উপাদান, তবু সাপ্লিমেন্ট হিসেবে গ্রহণের আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। এটি কিছু ওষুধ-বিশেষ করে রক্ত পাতলা করার ওষুধের সঙ্গে প্রতিক্রিয়া করতে পারে এবং অতিরিক্ত গ্রহণে হজমের সমস্যা হতে পারে।

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, সঠিক ডোজ ও চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে কারকিউমিন হতে পারে টাইপ ২ ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে একটি প্রাকৃতিক ও কার্যকর সহায়ক।


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর