বৃহঃস্পতিবার, ৮ই মে ২০২৫, ২৫শে বৈশাখ ১৪৩২ | ই-পেপার
ব্রেকিং নিউজ:
  • সারাদেশে জেলা ও উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আগ্রহী হলে আপনার সিভি ই-মেইল করতে পারেন। ই-মেইল daajkaal@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
  • চীনের তৈরি HQ9 এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম প্রতিরক্ষা কাজে কতটা সক্ষম
  • প্রসেনজিতের মেয়ে প্রেম করছেন, ফুফু বললেন ‘খুব মিষ্টি’
  • ভারতের ২০টিরও বেশি বিমানবন্দর বন্ধ
  • বিশ্ব থ্যালাসেমিয়া দিবস আজ
  • সরকার কেন প্রত্যাশা পূরণ করতে পারছে না
  • সঙ্কটের সময় সর্বদলীয় বৈঠকে মোদি আসছে বড় সিদ্ধান্ত
  • পাকিস্তানি অভিনেত্রীকে দেখতে ভিপিএন কিনছে ভারতীয়রা
  • আ.লীগকে সুবিধা দেওয়ায় ইউনূস সরকারকে একহাত নিলেন হাসনাত
  • গাজায় ইসরায়েলি বর্বরতায় আরও ৫৪ ফিলিস্তিনি নিহত
  • বায়ুদূষণে শীর্ষে দিল্লি, ঢাকার অবস্থান পঞ্চম

এনজিনা

হৃদরোগের প্রাথমিক লক্ষণ

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত:
১৩ এপ্রিল ২০২৫, ১৪:৩৬

আপনার বয়স ৪০-এর উপরে। কিছুদিন যাবৎ খেয়া, কাজকর্ম করতে গেলে আগের চেয়ে বেশি হাঁপিয়ে উঠছেন। যাচাই করার জন্য আগের মতো পরিশ্রম করার চেষ্টা করলে আরও বেশি হাঁপিয়ে যাচ্ছেন এবং শরীর বেশি ঘেমে যাচ্ছে।

অত্যাধিক গরম অনুভব করতে থাকেন, কখনো কখনো শরীর ঘেমে যাচ্ছে ফলে আপনি বিশ্রাম নিতে বাধ্য হচ্ছেন। আগের মতো দ্রুত হাঁটতে পারছেন না।

অনেক সময় পেট থেকে ঢেঁকুর তুলে গ্যাস বের করলে বা পানি পান করলে চাপ কমে গিয়ে আবার স্বাভাবিক হয়ে যাচ্ছে। কারও কারও বুকে চাপ অনুভূত না হয়ে বুকের মাঝখানে বা ডানে-বামে ব্যথা অনুভূত হয়, তার সঙ্গে নিঃশ্বাস ঘন হয়ে আসা ও বুক ধড়ফড় করা বা তার সঙ্গে অস্থিরতা দেখা দিতে পারে। কখনো কখনো এসব উপসর্গের সঙ্গে মাথা ঘোরা বা চোখে অন্ধকার দেখা বা চোখে শর্ষেফুল দেখার মতো অনুভূতি হতে পারে।

তবে শতকরা ৯০ ভাগ ক্ষেত্রেই পানি খেলে, গ্যাসের ওষুধ খেলে বা গ্যাস বের করলে বা শুধু বিশ্রাম নিলেই এ ধরনের অসুবিধাগুলো সম্পূর্ণভাবে উপসম হচ্ছে এবং পরবর্তীতে আবার পরিশ্রম করতে গেলে আগের মতো একই ধরনের সমস্যায় পড়ছেন। যারা করোনা-পরবর্তী জটিলতায় আক্রান্ত হয়েছেন তাদের ক্ষেত্রে এ ধরনের লক্ষণের তীব্রতা বৃদ্ধি পাওয়াটাই স্বাভাবিক।

তবে কখনো কখনো একই মাত্রার পরিশ্রম অনায়াসেই করতে পারছেন কোনোরূপ উপসর্গ ছাড়াই, আবার কখনো পারছেন না। এসব কিছু বিবেচনা করে অনেকেই এর জন্য পেটের গ্যাসকে দায়ী করে দীর্ঘসময় ধরে গ্যাসের ওষুধ গ্রহণ করছেন। অনেকে আরও গ্যাসের পাওয়ারফুল ওষুধ খুঁজতে গিয়ে অনেকবার ওষুধ বদল করেছেন কিন্তু তাতে খুব ভালো ফল পাচ্ছেন না। কারও কারও বা হাতে অস্বস্তি, ব্যথা বা অস্বাভাবিক অনুভূতি হতে পারে, তবে প্রায় সব সময়ই বিশ্রাম গ্রহণে বা অন্য কোনো ওষুধ বা পানি পান করলে তা দ্রুত নিরাময় হয়ে যায়।

বর্ণিত এ সমস্যাগুলোকে চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় এনজিনা বলা হয়। যার উদ্ভব এবং নিরাময় খুবই তাৎক্ষণিক হওয়ায় আক্রান্ত ব্যক্তি এ নিয়ে অনেক ধরনের দ্বিধাদ্বন্দ্বে ভুগতে থাকেন এবং বিভিন্ন জনের কারণকে বিভিন্নভাবে মূল্যায়ন করে থাকেন। তাৎক্ষণিক উদ্ভব ও তাৎক্ষণিক নিরাময় হওয়ার জন্য বেশির ভাগ মানুষই একে গ্যাসের উৎপত্তি হিসেবে দায়ী করে থাকেন এবং অল্প সময়ের মাঝেই আরোগ্য লাভ করার ফলে মানুষের ধারণা আরও পাকাপোক্ত হয় যে এটা গ্যাসের জন্যই হচ্ছে এবং গ্যাসের ওষুধ নিয়মিত সেবন করতে থাকেন কিন্তু গ্যাসের ওষুধ সেবন করেও এর থেকে মুক্তি পান না।

হৃৎপিন্ডে রক্ত সরবরাহ ব্যাহত হওয়ার ফলে পরিশ্রমকালীন বা তাড়াহুড়া করে স্বাভাবিক কর্ম সম্পাদনের সময়ে হৃৎপিন্ড- প্রয়োজনীয় পরিমাণের (অতিরিক্ত) রক্ত সরবরাহ না পাওয়ার ফলে এনজিনার অনুভূতির উপলব্ধি হয়ে থাকে এবং কাজ বন্ধ করলে বা বিশ্রাম গ্রহণ করলে হৃৎপিন্ডের রক্ত সরবরাহের চাহিদা কমে যাওয়ায় এনজিনার ব্যথা দূরীভূত হয়ে যায়।

আপনি গ্যাস বের করেন অথবা না করেন, আপনি গ্যাসের ওষুধ সেবন করেন বা না করেন, আপনি পানি পান করেন অথবা না করেন তাতে কিছু যায় আসে না, আপনি বিশ্রাম গ্রহণ করলে কাজ বন্ধ করে দিলে অতিদ্রুত এ ব্যথা বা অস্বস্তি দূরীভূত হবে এটাই এনজিনার স্বাভাবিক আচরণ।

এনজিনা হৃদরোগের প্রাথমিক লক্ষণ। তাই এমন হলে হৃদরোগ বিশেষজ্ঞের তত্ত্বাবধানে প্রাথমিক অবস্থায় চিকিৎসা গ্রহণের ফলে আপনি জটিল ধরনের হৃদরোগের প্রতিরোধ করে স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারবেন।যদি আপনি অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস বা উচ্চরক্তচাপে ভুগতে থাকেন বা ইতিমধ্যে করোনায় আক্রান্ত হয়ে থাকেন।

তবে এ অবস্থায় আপনাকে জরুরিভাবে হৃদরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন। তা না হলে খুব দ্রুত আপনি জটিলতায় পড়তে পারেন। মনে রাখবেন হৃদরোগ একটি প্রাণঘাতী রোগ হওয়ায় এর চিকিৎসায় আপনাকে অন্য অসুস্থতার চেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়ে চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে।


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর