বৃহঃস্পতিবার, ৮ই মে ২০২৫, ২৫শে বৈশাখ ১৪৩২ | ই-পেপার
ব্রেকিং নিউজ:
  • সারাদেশে জেলা ও উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আগ্রহী হলে আপনার সিভি ই-মেইল করতে পারেন। ই-মেইল daajkaal@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
  • চীনের তৈরি HQ9 এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম প্রতিরক্ষা কাজে কতটা সক্ষম
  • প্রসেনজিতের মেয়ে প্রেম করছেন, ফুফু বললেন ‘খুব মিষ্টি’
  • ভারতের ২০টিরও বেশি বিমানবন্দর বন্ধ
  • বিশ্ব থ্যালাসেমিয়া দিবস আজ
  • সরকার কেন প্রত্যাশা পূরণ করতে পারছে না
  • সঙ্কটের সময় সর্বদলীয় বৈঠকে মোদি আসছে বড় সিদ্ধান্ত
  • পাকিস্তানি অভিনেত্রীকে দেখতে ভিপিএন কিনছে ভারতীয়রা
  • আ.লীগকে সুবিধা দেওয়ায় ইউনূস সরকারকে একহাত নিলেন হাসনাত
  • গাজায় ইসরায়েলি বর্বরতায় আরও ৫৪ ফিলিস্তিনি নিহত
  • বায়ুদূষণে শীর্ষে দিল্লি, ঢাকার অবস্থান পঞ্চম

চুয়াডাঙ্গায় বিকাশে প্রতারণা চক্রের দুই সদস্য গ্রেফতার

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত:
১০ এপ্রিল ২০২৫, ১৫:৪৮

চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার দর্শনায় আর্থিক লেনদেন সেবা বিকাশে প্রতারণার অভিযোগে প্রতারক চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

বুধবার সন্ধ্যায় প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার খন্দকার গোলাম মওলা। এর আগে মঙ্গলবার রাতে বিকাশ প্রতারণার টাকা উত্তোলন করার সময় নগদ টাকা ও ৫টি মোবাইলফোনসহ তাদের গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতাররা হলেন-উপজেলার দর্শনার দক্ষিণ চাঁদপুর স্কুলপাড়ার তাইজুল ইসলামের ছেলে তাকবির ইসলাম রিয়াদ (৩০) ও নাটোর জেলার লালপুর থানার মোহরকয়া হল্ট কয়লারডর গ্রামের মৃত জাবেদ সরদারের ছেলে স্বপন আলী হৃদয় (২৫)।

চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার খন্দকার গোলাম মওলা জানান, মঙ্গলবার দর্শনার পুরাতন বাজারের ‘দোয়েল মেডিকেল হল’ নামক দোকানে আর্থিক লেনদেনের সময় প্রতারণার মাধ্যমে টাকা উত্তোলন করেন তাকবির ইসলাম রিয়াদ নামে এক যুবক।

বিষয়টি জানতে পেরে দর্শনা থানা পুলিশের একটি দল তাৎক্ষণিকভাবে অভিযান চালিয়ে ঘটনাস্থল থেকে প্রতারক রিয়াদকে ২৫ হাজার টাকাসহ গ্রেফতার করেন। পরে রিয়াদের ব্যবহৃত মোবাইলফোন বিশ্লেষণ করে চক্রের মূলহোতা স্বপন আলী হৃদয়ের অবস্থান শনাক্ত করা হয়।

পুলিশের বিশেষ অভিযানে মঙ্গলবার রাত আনুমানিক দেড়টার দিকে দর্শনা আকন্দবাড়ীয়া রায়পাড়া এলাকা থেকে স্বপনকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারের পর জিজ্ঞাসাবাদে স্বপন বিকাশ প্রতারণায় জড়িত থাকার কথা অকপটে স্বীকার করে। পাশাপাশি তিনি প্রতারণার কৌশল ও সহযোগীদের নামও প্রকাশ করেন।

পুলিশ সুপার আরও জানান, প্রতারক চক্রটি দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে প্রতারণার মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নেয়। এই টাকা চক্রের সদস্য তাকবির ইসলাম রিয়াদের মাধ্যমে দর্শনা থানা এলাকার বিভিন্ন বিকাশ এজেন্টের মাধ্যমে নগদায়ন করা হতো।

নগদায়নের পর রিয়াদ নিজের অংশ রেখে অবশিষ্ট টাকা মূলহোতা স্বপন আলী হৃদয়ের কাছে পাঠাতেন। গ্রেফতার দুই আসামির স্বীকারোক্তি অনুযায়ী, গত দুই মাসে তারা প্রায় ৫০ লাখ টাকারও বেশি প্রতারণার মাধ্যমে লেনদেন করেছেন।


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর