বৃহঃস্পতিবার, ৮ই মে ২০২৫, ২৫শে বৈশাখ ১৪৩২ | ই-পেপার
ব্রেকিং নিউজ:
  • সারাদেশে জেলা ও উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আগ্রহী হলে আপনার সিভি ই-মেইল করতে পারেন। ই-মেইল daajkaal@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
  • চীনের তৈরি HQ9 এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম প্রতিরক্ষা কাজে কতটা সক্ষম
  • প্রসেনজিতের মেয়ে প্রেম করছেন, ফুফু বললেন ‘খুব মিষ্টি’
  • ভারতের ২০টিরও বেশি বিমানবন্দর বন্ধ
  • বিশ্ব থ্যালাসেমিয়া দিবস আজ
  • সরকার কেন প্রত্যাশা পূরণ করতে পারছে না
  • সঙ্কটের সময় সর্বদলীয় বৈঠকে মোদি আসছে বড় সিদ্ধান্ত
  • পাকিস্তানি অভিনেত্রীকে দেখতে ভিপিএন কিনছে ভারতীয়রা
  • আ.লীগকে সুবিধা দেওয়ায় ইউনূস সরকারকে একহাত নিলেন হাসনাত
  • গাজায় ইসরায়েলি বর্বরতায় আরও ৫৪ ফিলিস্তিনি নিহত
  • বায়ুদূষণে শীর্ষে দিল্লি, ঢাকার অবস্থান পঞ্চম

মার্কিন যুদ্ধবিমানের ওপর উপসাগরীয় দেশগুলোর নিষেধাজ্ঞা

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত:
২ এপ্রিল ২০২৫, ১১:০৯

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানে বোমা হামলার হুমকি দেওয়ার পর মধ্যপ্রাচ্যে কূটনৈতিক ও সামরিক উত্তেজনা আরও বেড়েছে। সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার ও কুয়েত—উপসাগরীয় চার দেশ স্পষ্টভাবে জানিয়েছে, তারা ইরানে হামলার জন্য মার্কিন যুদ্ধবিমানকে তাদের আকাশসীমা বা ঘাঁটি ব্যবহার করতে দেবে না। খবর মিডল ইস্ট আইয়ের।

একজন জ্যেষ্ঠ মার্কিন কর্মকর্তা বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, উপসাগরীয় দেশগুলো যুক্তরাষ্ট্রের সম্ভাব্য হামলার অংশ হতে চায় না।

ট্রাম্প প্রশাসন তেহরানের ওপর চাপ বাড়াতে ইয়েমেনে হুথিদের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান চালাচ্ছে। কিন্তু উপসাগরীয় দেশগুলোর এই কঠোর অবস্থান যুক্তরাষ্ট্রের জন্য বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

মার্কিন কর্মকর্তারা আশঙ্কা করছেন, আরব দেশগুলো সমর্থন না দিলে ইরানের সঙ্গে সমঝোতায় যুক্তরাষ্ট্র দুর্বল অবস্থানে পড়তে পারে। এর আগে, মার্কিন গোয়েন্দা ও প্রতিরক্ষা কর্মকর্তারা মার্চ মাসে ওয়াশিংটন ডিসিতে সৌদি ও আমিরাতি প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেন। এরপরই ইয়েমেনে হুথিদের ওপর হামলা শুরু করে যুক্তরাষ্ট্র।

উপসাগরীয় দেশগুলোর নিষেধাজ্ঞা জ্বালানি সরবরাহ ও উদ্ধার অভিযানের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য, যা মার্কিন বিমান অভিযানের সক্ষমতায় বড় বাধা তৈরি করতে পারে। ট্রাম্প প্রশাসন মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধবিমান ও সামরিক সরঞ্জাম মজুত বাড়িয়েছে।

ওপেন-সোর্স বিশ্লেষকদের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে এই অঞ্চলে মার্কিন সামরিক পণ্যবাহী বিমানের সংখ্যা আগের তুলনায় ৫০% বৃদ্ধি পেয়েছে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে ইরানের পরমাণু কর্মসূচি বন্ধ করতে সামরিক হামলা ও অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার হুমকি দেন।

২০১৮ সালে ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রকে ইরানের সঙ্গে ২০১৫ সালের পারমাণবিক চুক্তি থেকে প্রত্যাহার করে নেন। এরপর ওয়াশিংটন ইরানের ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করলে তেহরান ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ বৃদ্ধি করে।

ইরান এখন পর্যন্ত নতুন কোনো সমঝোতায় আসেনি। দেশটির পররাষ্ট্র উপমন্ত্রী আব্বাস আরাকচি জানিয়েছেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের পাঠানো এক চিঠির জবাব দেওয়া হয়েছে, যা ওমানের মাধ্যমে পাঠানো হয়েছিল।

উপসাগরীয় দেশগুলোর নিষেধাজ্ঞার প্রতিক্রিয়ায় যুক্তরাষ্ট্র ভারত মহাসাগরের ডিয়েগো গার্সিয়া ঘাঁটিতে বি-২ বোমারু বিমান মোতায়েন করেছে।

এর মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র ইরানে সম্ভাব্য হামলার জন্য বিকল্প সামরিক কৌশল গ্রহণের ইঙ্গিত দিচ্ছে। তবে মধ্যপ্রাচ্যের রাজনৈতিক ও সামরিক পরিস্থিতি কোন দিকে মোড় নেবে, তা এখনও অনিশ্চিত।


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর