বৃহঃস্পতিবার, ৮ই মে ২০২৫, ২৫শে বৈশাখ ১৪৩২ | ই-পেপার
ব্রেকিং নিউজ:
  • সারাদেশে জেলা ও উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আগ্রহী হলে আপনার সিভি ই-মেইল করতে পারেন। ই-মেইল daajkaal@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
  • চীনের তৈরি HQ9 এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম প্রতিরক্ষা কাজে কতটা সক্ষম
  • প্রসেনজিতের মেয়ে প্রেম করছেন, ফুফু বললেন ‘খুব মিষ্টি’
  • ভারতের ২০টিরও বেশি বিমানবন্দর বন্ধ
  • বিশ্ব থ্যালাসেমিয়া দিবস আজ
  • সরকার কেন প্রত্যাশা পূরণ করতে পারছে না
  • সঙ্কটের সময় সর্বদলীয় বৈঠকে মোদি আসছে বড় সিদ্ধান্ত
  • পাকিস্তানি অভিনেত্রীকে দেখতে ভিপিএন কিনছে ভারতীয়রা
  • আ.লীগকে সুবিধা দেওয়ায় ইউনূস সরকারকে একহাত নিলেন হাসনাত
  • গাজায় ইসরায়েলি বর্বরতায় আরও ৫৪ ফিলিস্তিনি নিহত
  • বায়ুদূষণে শীর্ষে দিল্লি, ঢাকার অবস্থান পঞ্চম

ইন্টারনেট আসক্তি এড়াতে টিনএজারদের যে ৭টি দক্ষতা শেখা দরকার

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত:
২৬ মার্চ ২০২৫, ১৩:৫০

কোভিড-১৯ মহামারির পর থেকে শিশু-কিশোরদের ডিজিটাল মাধ্যম এবং অনলাইন প্ল্যাটফর্মে সময় কাটানোর প্রবণতা বেড়েছে। ফলে, পরিবার এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সামাজিক ও মানসিক দক্ষতার গুরুত্ব আগের চেয়ে অনেক বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে।

সোশ্যাল-ইমোশনাল লার্নিং (SEL) বা সামাজিক-মানসিক শিক্ষার মাধ্যমে কিশোর-কিশোরীরা আত্মপরিচয় গঠন, আবেগ নিয়ন্ত্রণ, সম্পর্ক তৈরি এবং যুক্তিসঙ্গত সিদ্ধান্ত গ্রহণের দক্ষতা অর্জন করতে পারে। এটি তাদের অনলাইন জগতে নিরাপদ ও দায়িত্বশীল থাকার ক্ষেত্রেও সহায়ক ভূমিকা রাখে।

পেডিয়াট্রিশিয়ান এবং অ্যাডোলেসেন্ট মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. হিনা তালিব তাঁর ইনস্টাগ্রাম পোস্টে কিশোর-কিশোরীদের জন্য ডিজিটাল বিশ্বে প্রয়োজনীয় সাতটি সামাজিক-মানসিক দক্ষতার কথা উল্লেখ করেছেন।

 আত্মপক্ষ সমর্থন ও অনলাইন সহনশীলতা গঠন

কিশোরদের বোঝাতে হবে যে, নিজেদের চাহিদার ব্যাপারে কথা বলা জরুরি। যেমন—স্কুলে কোনো বিষয়ে সহায়তা দরকার হলে শিক্ষকের কাছে ইমেইল করা উচিত। তবে সেই ইমেইল অভিভাবক লিখে দিলে চলবে না, বরং অভিভাবক পরামর্শ দিতে পারেন।

ভার্চুয়াল জগতে অনুভূতি ও দৃষ্টিভঙ্গি বোঝা

সন্তানের সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখা পোস্ট বা মন্তব্য নিয়ে আলাপ করুন। প্রশ্ন করুন, "ওই বন্ধুর পোস্টের মানে কী হতে পারে?" এ ধরনের আলোচনার মাধ্যমে তারা অন্যের দৃষ্টিভঙ্গি বুঝতে শিখবে।

অনলাইন বন্ধুত্ব বেছে নেওয়া

অনলাইন জগতে নিরাপদ এবং ইতিবাচক বন্ধুত্ব গড়ে তোলা জরুরি। কিশোরদের বোঝানো দরকার যে, শুধুমাত্র সমর্থনশীল এবং ইতিবাচক মনোভাবসম্পন্ন বন্ধুদের সঙ্গেই সংযোগ রাখা উচিত।

অনলাইন "পরিস্থিতি বোঝা"

সরাসরি কথোপকথনের সময় আমরা মুখের অভিব্যক্তি ও কণ্ঠস্বরে অন্যের অনুভূতি বুঝতে পারি। কিন্তু অনলাইনে এটি কঠিন হয়ে পড়ে। তাই অভিভাবকরা কিশোরদের অনলাইনে সন্দেহজনক পোস্ট বা মন্তব্য চিনতে শেখানোর পাশাপাশি, তাদের সঙ্গে খোলামেলা আলোচনা করতে পারেন।

ডিজিটাল নাগরিকত্ব অনুশীলন ও সাইবার বুলিং প্রতিরোধ

পরিবারের ডিজিটাল নিয়মকানুন সম্পর্কে সচেতন করা দরকার। কিশোরদের বোঝাতে হবে যে, তারা যেন সবসময় সদয় থাকে, সাইবারবুলিং দেখলে প্রতিবাদ করে এবং নিজেদের নিরাপদ রাখতে ব্লক বা গোপনীয়তা সেটিংস পরিবর্তন করতে পারে।

অনলাইনে বিভিন্ন বিষয়ে কৌতূহলী হওয়া

কিশোরদের কেবল গেমিং বা বিনোদনের মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে বিভিন্ন বিষয়ে আগ্রহী হতে উৎসাহিত করা উচিত। আন্তর্জাতিক ঘটনাবলী, সামাজিক-সাংস্কৃতিক পার্থক্য বা নতুন কিছু শেখার অভ্যাস গড়ে তোলা তাদের মানসিক বিকাশে সহায়তা করবে।

দ্বন্দ্ব নিরসনের জন্য কার্যকর যোগাযোগ কৌশল ব্যবহার

কোনো অনলাইন বার্তা বা পোস্টের গভীরতা বোঝা জরুরি। কিশোরদের শেখানো উচিত কিভাবে আবেগ নিয়ন্ত্রণ করে বিবাদ বা মতভেদ নিরসন করা যায়, যাতে তারা হঠাৎ প্রতিক্রিয়া না দেখায়।

বর্তমান ডিজিটাল যুগে কিশোরদের শুধুমাত্র প্রযুক্তিগত দক্ষতা নয়, বরং সামাজিক ও মানসিকভাবে সচেতন থাকা জরুরি। উপযুক্ত দিকনির্দেশনা এবং পরিবার ও শিক্ষকদের সহায়তায় তারা নিরাপদ ও দায়িত্বশীল ডিজিটাল নাগরিক হয়ে উঠতে পারবে।


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর