বৃহঃস্পতিবার, ৮ই মে ২০২৫, ২৫শে বৈশাখ ১৪৩২ | ই-পেপার
ব্রেকিং নিউজ:
  • সারাদেশে জেলা ও উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আগ্রহী হলে আপনার সিভি ই-মেইল করতে পারেন। ই-মেইল daajkaal@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
  • চীনের তৈরি HQ9 এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম প্রতিরক্ষা কাজে কতটা সক্ষম
  • প্রসেনজিতের মেয়ে প্রেম করছেন, ফুফু বললেন ‘খুব মিষ্টি’
  • ভারতের ২০টিরও বেশি বিমানবন্দর বন্ধ
  • বিশ্ব থ্যালাসেমিয়া দিবস আজ
  • সরকার কেন প্রত্যাশা পূরণ করতে পারছে না
  • সঙ্কটের সময় সর্বদলীয় বৈঠকে মোদি আসছে বড় সিদ্ধান্ত
  • পাকিস্তানি অভিনেত্রীকে দেখতে ভিপিএন কিনছে ভারতীয়রা
  • আ.লীগকে সুবিধা দেওয়ায় ইউনূস সরকারকে একহাত নিলেন হাসনাত
  • গাজায় ইসরায়েলি বর্বরতায় আরও ৫৪ ফিলিস্তিনি নিহত
  • বায়ুদূষণে শীর্ষে দিল্লি, ঢাকার অবস্থান পঞ্চম

দুধের সঙ্গে যেসব খাবার খাওয়া অনুচিত

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত:
১৩ মার্চ ২০২৫, ১৩:৩৯

দুধ একটি অত্যন্ত উপকারী পানীয়। এতে রয়েছে ভিটামিন এ, বি৬, ডি, কে, ফসফরাস, ম্যাগনেশিয়াম ও আয়োডিনের ভাণ্ডার। এমনকি এই পানীয়তে বেশ কিছুটা প্রোটিনও রয়েছে। যেই কারণে দুধ খেলে সুস্থ থাকে শরীর

এড়িয়ে চলা যায় একাধিক রোগের ফাঁদ।

কিন্তু এই উপকারী দুধ আবার কয়েকটি পরিচিত খাবারের সঙ্গে খাওয়া উচিত নয়। এই ভুলটা করলে উপকার তো মিলবেই না, উল্টো শরীরের ক্ষতি হওয়া আশঙ্কা থেকে যাবে। ঠিক কোন কোন খাবার রয়েছে এই তালিকায়, উত্তর জানতে পড়তে থাকুন এই প্রতিবেদনটি।

লেবু ও টকজাতীয় ফল

অত্যন্ত উপকারী একটি ফল হলো লেবু। এতে রয়েছে ভিটামিন সি-এর ভাণ্ডার। তাই সুস্থ থাকতে নিয়মিত লেবু খেতেই হবে। তবে দুধ ও লেবুর কম্বিনেশন একদম সর্বনাশা।

আসলে লেবুতে রয়েছে সাইট্রিক এসিড। আর এই এসিড দুধের সঙ্গে বিক্রিয়া করতে পারে। যার ফলে পিছু নিতে পারে পেটে ব্যথা, বমির মতো সমস্যা। তাই বিশেষজ্ঞরা দুধের সঙ্গে লেবু জাতীয় ফল খেতে বারণ করেন। এ ক্ষেত্রে দুধ খাওয়ার ১ ঘণ্টা পর যদি লেবু খান, তাহলে তেমন একটা সমস্যা হবে না।

কলা-পাউরুটি

অনেকেই ব্রেকফাস্টে দুধ ও কলা একসঙ্গে খান। আর এই ভুলটা করেন বলেই তাদের শরীরের বারোটা বেজে যায়। কারণ, কলা ও দুধ একসঙ্গে খেলে তা হজম করা কঠিন হয়ে পড়ে। যার ফলে গ্যাস, এসিডিটি ও কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যার ফাঁদে পড়ার আশঙ্কা কয়েকগুণ বাড়ে। তাই এবার থেকে কলা ও দুধ একসঙ্গে খাবেন না।

আবার কারো কারো দুধ-কলা-পাউরুটি একসঙ্গে খাওয়ার অভ্যাস রয়েছে। এটিও স্বাস্থ্যের জন্য বিপজ্জনক। বরং দুধ খাওয়ার পর এই খাবারগুলো না খেয়ে মোটামুটি ১ ঘণ্টা পর খেলেই উপকার। এই কাজটা করলে যেমন দেহে পুষ্টির ঘাটতি মিটে যাবে, ঠিক তেমনি একাধিক রোগও বিরক্ত করতে পারবে না। তবে ডায়াবেটিস থাকলে ভুলেও প্রতিদিন কলা খাওয়া যাবে না। তাতে সুগার বাড়ার আশঙ্কা প্রবল হবে।

গুড়

চিনির থেকে কয়েকগুণ উপকারী গুড়। এতে রয়েছে অত্যন্ত জরুরি কিছু খনিজ। তাই আজকাল অনেকেই চিনির বদলে গুড় খাচ্ছেন। কিন্তু ভুলেও আবার দুধে গুড় মিশিয়ে খাবেন না। এই কারণে পেটের হাল বিগড়ে যেতে পারে। পিছু নিতে পারে পেট খারাপের মতো সমস্যা। তাই চেষ্টা করুন দুধে গুড় মিশিয়ে না খাওয়ার।

তবে গুড় হোক বা চিনি, যেকোনো মিষ্টি খাবারই ক্যালরির ভাণ্ডার। তাই এসব খাবার খেলে বাড়তে পারে সুগার। এমনকি ওজনও হতে পারে ঊর্ধ্বমুখী। তাই চেষ্টা করুন গুড় যতটা কম সম্ভব খাওয়ার।

ফাস্টফুড

আজকাল প্রায় সকলেই ফাস্টফুডের প্রতি নির্ভরশীল হয়ে পড়েছেন। তাই তো আমাদের মধ্যে অনেকেই প্রায়দিন রাতে বিরিয়ানি, রোল, চাউমিন খেয়ে রসনাতৃপ্তি করেন। তারপর এক গ্লাস দুধ খেয়ে নিদ্রা যান। আর এই ভুলটা করেন বলেই তাদের শরীরের হাল বিগড়ে যায়। পিছু নেয় পেটের সমস্যা। এমনকি দুধ খেয়ে কোনো উপকারই পাওয়া যায় না। তাই চেষ্টা করুন কোনো ফাস্টফুড খাওয়ার পরপর দুধ পান এড়িয়ে চলার। তাতেই আপনার সুস্থ থাকার পথ প্রশস্ত হবে।

হাই প্রোটিনযুক্ত খাবার

সকালের ব্রেকফাস্টে দুধের সঙ্গে অনেকেই মাছ, ডিম বা মাংসের পদ আয়েস করে খান। আর একসঙ্গে একাধিক প্রোটিন রিচ খাবার খাওয়ার কারণে শরীরের হাল বিগড়ে যেতে পারে। পিছু নিতে পারে একাধিক জটিল সমস্যা। এমনকি শুরু হয়ে যেতে পারে বমি, পায়খানা। তাই চেষ্টা করুন দুধের সঙ্গে একাধিক প্রোটিনজাতীয় খাবার না খাওয়ার।

দই

দইয়ের সৃষ্টি দুধ থেকে হলেও খাওয়ার সময় দুধ খেয়ে দই খাওয়া যাবে না। বা ভাইস ভার্সা। দুধ ও দই একত্রে না খাওয়াই ভালো, বিশেষ করে টক দই। এতে পেট খারাপের বেশ ভালো আশঙ্কা থাকে।

পেঁয়াজ

দুধ খাওয়ার পর কাঁচা পেঁয়াজ খাবেন না। এতে চুলকানি ও সংক্রমণের সমস্যা বাড়তে থাকে। এ ছাড়া হতে পারে পেট ব্যথা ও গ্যাস্ট্রিক এমনকি বমিও।

মুলা

পুষ্টিগুণে ভরপুর মুলা শীতকালে অনেকেরই পছন্দ। কিন্তু দুধ খাওয়ার পরপর মুলা খাওয়া উচিত নয়। একইভাবে মুলা খাওয়ার দুই ঘণ্টার ভেতরে দুধ খাওয়া ঠিক হবে না। মুলা শরীর গরম করতে সাহায্য করে। মুলা দুধের সঙ্গে মিশে পেটের পীড়ার কারণ হতে পারে।

ঝালজাতীয় খাবার

ঝালজাতীয় খাবার পেটে এসিডিটির পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। দুধের সঙ্গে মিলে যা খাদ্যনালিতে গিয়ে পেটে জ্বালাপোড়া ও ব্যথার সৃষ্টি করে।

ডিম ও দুধ

ডিম ও দুধ কখনো একসঙ্গে খাওয়া উচিত নয়। উচ্চ প্রোটিনসমৃদ্ধ পানীয়ের মধ্যে একটি হলো দুধ। ভুল করেও ডিম ও দুধ একসঙ্গে খাবেন না। দুধের সঙ্গে যেকোনো তেলে ভাজা খাবার খেলে মারাত্মক প্রভাব পড়ে শরীরে। এ কারণেই ডিম আর দুধও একসঙ্গে খাওয়া উচিত নয়।

লবণ ও দুধ

দুধের সঙ্গে লবণ ব্যবহার করলে এর প্রোটিনগুলো কমে যায়। অনেকেই স্বাদ বাড়াতে দুধের সঙ্গে লবণ মেশান। তবে এই ভুল করলে দুধের প্রোটিন শরীরে ঢুকবে না।

তরমুজ ও দুধ

তরমুজ খাওয়ার পরপরই কখনো দুধ পান করবেন না। দুধ একটি রেচক হিসেবে কাজ করে ও তরমুজে মূত্রবর্ধক বৈশিষ্ট্য আছে। এই দুই খাবার একসঙ্গে খেলে চরম হজমে সমস্যা দেখা দিতে পারে।

বিউলির ডাল

বিউলির ডাল খাওয়ার পরে পরেই দুধ খেলে বমি, পেটে ব্যথা, মাথা ধরার মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। এ ছাড়া দুটো খাবার কম সময়ের ব্যবধানে খেলে শরীর ভারী লাগতে পারে।‌ বিশেষজ্ঞদের মতে, বিউলির ডাল খাওয়ার অন্তত দুই ঘণ্টা পরে দুধ খাওয়া উচিত‌।

কাঁঠাল

দুধ খাওয়ার পর কাঁঠাল খাওয়া একেবারেই উচিত নয়। এতে ত্বকের নানা সমস্যা যেমন চুলকানি ও সোরিয়াসিসের মতো গুরুতর চর্মরোগ দেখা দিতে পারে। এ ছাড়া দুধের পর কাঁঠাল খেলে পেটের সমস্যাও দেখা দেয়। পাকস্থলী দুটি খাবার একসঙ্গে হজম করতে পারে না বলে এমন ঘটনা ঘটে।

 


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর