বৃহঃস্পতিবার, ৮ই মে ২০২৫, ২৫শে বৈশাখ ১৪৩২ | ই-পেপার
ব্রেকিং নিউজ:
  • সারাদেশে জেলা ও উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আগ্রহী হলে আপনার সিভি ই-মেইল করতে পারেন। ই-মেইল daajkaal@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
  • চীনের তৈরি HQ9 এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম প্রতিরক্ষা কাজে কতটা সক্ষম
  • প্রসেনজিতের মেয়ে প্রেম করছেন, ফুফু বললেন ‘খুব মিষ্টি’
  • ভারতের ২০টিরও বেশি বিমানবন্দর বন্ধ
  • বিশ্ব থ্যালাসেমিয়া দিবস আজ
  • সরকার কেন প্রত্যাশা পূরণ করতে পারছে না
  • সঙ্কটের সময় সর্বদলীয় বৈঠকে মোদি আসছে বড় সিদ্ধান্ত
  • পাকিস্তানি অভিনেত্রীকে দেখতে ভিপিএন কিনছে ভারতীয়রা
  • আ.লীগকে সুবিধা দেওয়ায় ইউনূস সরকারকে একহাত নিলেন হাসনাত
  • গাজায় ইসরায়েলি বর্বরতায় আরও ৫৪ ফিলিস্তিনি নিহত
  • বায়ুদূষণে শীর্ষে দিল্লি, ঢাকার অবস্থান পঞ্চম

বান্দরবানে ম্যালেরিয়ার প্রাদুর্ভাব, এক মাসেই মৃত্যু দুজনের

বান্দরবান প্রতিনিধি

প্রকাশিত:
১৩ জুলাই ২০২৩, ১২:৪১

পার্বত্য জেলা বান্দরবানে সারা বছরই ম্যালেরিয়া লেগে থাকে। জুন-জুলাই মাসে বৃষ্টি শুরুর পর মশার বংশ বিস্তার শুরু হওয়ায় মশাবাহিত এই ম্যালেরিয়া রোগের প্রকোপ বাড়ে।

 

আক্রান্ত হয় বহু মানুষ। 

গত বছর ম্যালেরিয়া আক্রান্ত হয়ে জেলায় কোনো মৃত্যুর ঘটনা না ঘটলেও এবার ম্যালেরিয়া আক্রান্ত হয়ে জুন মাসেই প্রাণ হারিয়েছে দুইজন। এদিকে হঠাৎ করে পার্বত্য এলাকায় ম্যালেরিয়া রোগের প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় আতঙ্কিত হয়ে উঠেছে স্থানীয় বাসিন্দা ও রোগীর স্বজনরা।

 

জেলার সাতটি উপজেলার বিভিন্ন দুর্গম গ্রামে আশঙ্কাজনক হারে ম্যালেরিয়া রোগী বেড়েছে। জুন মাসে মশাবাহিত এই রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রুমা ও থানচি উপজেলার দুইজন রোগীর মৃত্যু হয়েছে। বর্ষা মৌসুমের শুরু থেকেই জেলাজুড়ে বিভিন্ন হাসপাতাল ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রতিদিনই অসংখ্য রোগী জ্বর নিয়ে রক্ত পরীক্ষা করেই ম্যালেরিয়া রোগে শনাক্ত হচ্ছে। 

 

বান্দরবান সদর হাসপাতালে রক্ত পরীক্ষা করতে আসা লিটন দাশ বলেন, শরীর গত কয়েকদিন ধরে ব্যথা সেই সঙ্গে জ্বর আর সেকারণে বাধ্য হয়ে ম্যালেরিয়া রোগ নির্ণয়ে রক্ত পরীক্ষা করতে হলো। তিনি আরও বলেন, কয়েকদিন ধরে বান্দরবানে যে হারে ম্যালেরিয়া রোগী বাড়ছে তাতে আতঙ্ক বিরাজ করছে মনে।

 

ম্যালেরিয়া আক্রান্ত হয়ে টংকাবতী থেকে বান্দরবান সদর হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগী ইয়াং ম্রো বলেন, পাঁচদিন ধরে জ্বরে ভুগছি। পাড়ার ফার্মেসি থেকে ওষুধ খেয়ে সুস্থ হইনি, পরে সদর হাসপাতালে এসে রক্ত পরীক্ষা করে দেখি ম্যালেরিয়া পজিটিভ। এখন সদর হাসপাতালে ভর্তি হলাম, চিকিৎসা চলছে। 

 

বান্দরবান স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্যমতে, ২০২২ সালে ম্যালেরিয়া রোগে আক্রান্ত হয়ে জেলায় কোনো মৃত্যু না হলেও আক্রান্ত হয়েছিল ১৩ হাজার ৮১৮ জন। ২৩ সালের জানুয়ারি মাস থেকে এ পর্যন্ত ২ হাজার ৯৩৩ জন আক্রান্ত হয়েছে আর এরই মধ্যে মৃত্যু হয়েছে দুজনের।

 

স্বাস্থ্য বিভাগ আরও জানায়, গত জুন মাসে জেলায় ম্যালেরিয়া রোগীর সংখ্যা ছিল ১৬৯৩ জন। যার মধ্যে আলীকদম উপজেলায় আক্রান্ত ৪৩৫ জন, থানচিতে ৩৬৫, লামায় ২৮৬, রুমায় ২৫৭, নাইক্ষ্যংছড়িতে ১৭৬, রোয়াংছড়িতে ১০৩ এবং সদর উপজেলায় আক্রান্ত ৭১ জন।

 

এদিকে ম্যালেরিয়া রোগ নিয়ন্ত্রণে স্বাস্থ্যবিভাগ নিয়মিত সচেতনতা কার্যক্রম অব্যাহত রাখা, দুর্গম এলাকায় স্বাস্থ্যকর্মীদের মাধ্যমে উঠান বৈঠক, বিনামূল্যে কীটনাশকযুক্ত মশারি বিতরণসহ ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর বাসিন্দাদের বিশেষ তদারকি অব্যাহত রেখেছে বলে জানায় বান্দরবানের সিভিল সার্জন ডা. মো. মাহবুবুর রহমান।

 

তিনি জানান, বান্দরবানে ম্যালেরিয়া রোগী শনাক্তে পর্যাপ্ত কীট ও চিকিৎসাসেবায় প্রয়োজনীয় ওষুধ স্বাস্থ্য বিভাগের কাছে মজুদ রয়েছে। হঠাৎ বান্দরবানে ম্যালেরিয়া রোগী বাড়লেও গত বছরের চেয়ে এখনো কম আক্রান্ত হয়েছে এবং যে দুজনের মৃত্যু হয়েছে তা অত্যন্ত দুঃখজনক। 

 

সিভিল সার্জন আরও বলেন, বান্দরবানের জনসাধারণকে নিরাপদে রাখা এবং মশাবাহিত রোগ থেকে মুক্ত রাখার জন্য এ বছর বিনামূল্যে জেলার সাতটি উপজেলায় ৩ লক্ষ ৬২ হাজার ২১৭টি  কীটনাশকযুক্ত মশারি বিতরণ করা হয়েছে।


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর