বৃহঃস্পতিবার, ৮ই মে ২০২৫, ২৫শে বৈশাখ ১৪৩২ | ই-পেপার
ব্রেকিং নিউজ:
  • সারাদেশে জেলা ও উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আগ্রহী হলে আপনার সিভি ই-মেইল করতে পারেন। ই-মেইল daajkaal@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
  • চীনের তৈরি HQ9 এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম প্রতিরক্ষা কাজে কতটা সক্ষম
  • প্রসেনজিতের মেয়ে প্রেম করছেন, ফুফু বললেন ‘খুব মিষ্টি’
  • ভারতের ২০টিরও বেশি বিমানবন্দর বন্ধ
  • বিশ্ব থ্যালাসেমিয়া দিবস আজ
  • সরকার কেন প্রত্যাশা পূরণ করতে পারছে না
  • সঙ্কটের সময় সর্বদলীয় বৈঠকে মোদি আসছে বড় সিদ্ধান্ত
  • পাকিস্তানি অভিনেত্রীকে দেখতে ভিপিএন কিনছে ভারতীয়রা
  • আ.লীগকে সুবিধা দেওয়ায় ইউনূস সরকারকে একহাত নিলেন হাসনাত
  • গাজায় ইসরায়েলি বর্বরতায় আরও ৫৪ ফিলিস্তিনি নিহত
  • বায়ুদূষণে শীর্ষে দিল্লি, ঢাকার অবস্থান পঞ্চম

দিল্লির পার্কে কার সঙ্গে দেখা গেল হাসিনাকে?

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত:
১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৪:১১

ছাত্র-জনতার বিক্ষোভের মুখে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা পালিয়ে ভারতে চলে যান। এরপর থেকে তিনি ভারতেই অবস্থান করছেন। তবে দেশটির ঠিক কোথায় তিনি অবস্থান করছেন সেটি এখনও জানা যায়নি। এ বিষয়ে ভারত সরকার নীরব।

শেখ হাসিনাকে নিয়ে নানামুখী আলোচনার মধ্যে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ফিনান্সিয়াল টাইমস জানিয়েছে, ভারতের রাজধানী দিল্লিতে মেয়ের সঙ্গে থাকছেন হাসিনা। এমনকি তাকে তার দলবলসহ দিল্লির অন্যতম অভিজাত পার্ক লোদি গার্ডেনেও ঘুরতে দেখা গেছে।

বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) প্রকাশিত প্রতিবেদনে সংবাদমাধ্যমটি বলছে, গত মাসে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে বাংলাদেশের স্বৈরাচারী প্রধানমন্ত্রী পালাতে বাধ্য হওয়ার পর থেকে নয়াদিল্লির নৈশভোজের অনুষ্ঠানগুলোতে যে ইস্যুটি আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছে তা হলো— শেখ হাসিনা এখন কোথায়?

গত ৫ আগস্ট বিক্ষোভকারীরা যখন তার ঢাকার বাসভবনের দিকে মিছিল সহকারে এগিয়ে যাচ্ছিল, তখন হাসিনা পদত্যাগ করেন এবং বাংলাদেশি সামরিক বিমানে করে ভারতের গাজিয়াবাদের কাছে একটি বিমান বাহিনীর ঘাঁটিতে নামেন। নরেন্দ্র মোদির সরকার তখন থেকে নিশ্চিত করেছে, তিনি ভারতেই আছেন।

তবে হাসিনার বিষয়ে আরও কিছু বলতে বরারবরই অস্বীকার করছে ভারতীয় সরকার। তবে এটি হাসিনার অবস্থান নিয়ে জল্পনা-কল্পনা বন্ধ করতে পারেনি।

বিভিন্ন মাত্রার বিশ্বাসযোগ্যতার সঙ্গে ভারতের এই আড্ডাবাজ ক্লাসের সদস্যরা ব্যক্তিগতভাবে দাবি করেছেন, ক্ষমতাচ্যুত সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী ভারতীয় সরকারের একটি সেফ হাউসে রয়েছেন; তিনি তার মেয়ে সায়মা ওয়াজেদের সঙ্গে থাকছেন যিনি চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দিল্লিভিত্তিক পদে আঞ্চলিক চাকরি নিয়েছেন; এমনকি তাকে (হাসিনাকে) তার দলবলের সঙ্গে দিল্লির অন্যতম সেরা পার্ক লোদি গার্ডেনে ঘুরে বেড়াতেও দেখা গেছে।

আওয়ামী লীগ যখন বাংলাদেশের শাসন ক্ষমতায় ছিল তখন হাসিনার শীর্ষ বিদেশী সমর্থক ছিল মোদি সরকার। হাসিনার পালিয়ে আসার কথা স্বীকার করলেও সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর অবস্থান বা অন্যান্য বিষয়ে নীরবতা বজায় রেখেছে তারা। দিল্লির দেশি-বিদেশি সংবাদমাধ্যমগুলো বেশিরভাগই এমন দাবিও করা বন্ধ করে দিয়েছে যে— ক্ষমতাচ্যুত-পরবর্তী সময়ে তারা শেখ হাসিনার প্রথম সাক্ষাৎকার পাবে।

এর কয়েকটি কারণ রয়েছে। হাসিনার পতনের পর ক্ষমতা গ্রহণ করা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার গত জুলাই-আগস্টে আন্দোলন-বিক্ষোভের সময় শত শত মানুষের হত্যাকাণ্ডের জন্য তাকে দায়ী করেছে। ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে একটি প্রত্যর্পণ চুক্তিও রয়েছে— যা ২০১৩ সালে হাসিনার নিজের সরকারের সময়েই স্বাক্ষরিত— যেটি তত্ত্বগতভাবে হাসিনার বিরুদ্ধেই ব্যবহার করা যেতে পারে যদি বাংলাদেশের নতুন সরকার তাকে গ্রেফতার করতে চায়।


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর