বৃহঃস্পতিবার, ৮ই মে ২০২৫, ২৫শে বৈশাখ ১৪৩২ | ই-পেপার
ব্রেকিং নিউজ:
  • সারাদেশে জেলা ও উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আগ্রহী হলে আপনার সিভি ই-মেইল করতে পারেন। ই-মেইল daajkaal@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
  • চীনের তৈরি HQ9 এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম প্রতিরক্ষা কাজে কতটা সক্ষম
  • প্রসেনজিতের মেয়ে প্রেম করছেন, ফুফু বললেন ‘খুব মিষ্টি’
  • ভারতের ২০টিরও বেশি বিমানবন্দর বন্ধ
  • বিশ্ব থ্যালাসেমিয়া দিবস আজ
  • সরকার কেন প্রত্যাশা পূরণ করতে পারছে না
  • সঙ্কটের সময় সর্বদলীয় বৈঠকে মোদি আসছে বড় সিদ্ধান্ত
  • পাকিস্তানি অভিনেত্রীকে দেখতে ভিপিএন কিনছে ভারতীয়রা
  • আ.লীগকে সুবিধা দেওয়ায় ইউনূস সরকারকে একহাত নিলেন হাসনাত
  • গাজায় ইসরায়েলি বর্বরতায় আরও ৫৪ ফিলিস্তিনি নিহত
  • বায়ুদূষণে শীর্ষে দিল্লি, ঢাকার অবস্থান পঞ্চম

আবু সাঈদের বাবা-মাকে সান্ত্বনা দিলেন ড. ইউনূস

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত:
১০ আগষ্ট ২০২৪, ১২:২৭

কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে নিহত আবু সাঈদের বাড়িতে গিয়ে তার বাবা ও মাকে সান্ত্বনা জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। শনিবার (১০ আগস্ট) সকাল ১১টার দিকে আবু সাঈদের বাড়িতে পৌঁছান তিনি।

এর আগে ঢাকা থেকে হেলিকপ্টারে করে রংপুর আসেন প্রধান উপদেষ্টা।

নিহত আবু সাঈদের বাড়িতে পৌঁছে ড. ইউনূস তার কবর জিয়ারত করেন। মোনাজাতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সব নিহতদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া করা হয়। এ সময় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন কোটা আন্দোলনের সমন্বয়কদের কয়েকজন।

কবর জিয়ারত শেষে প্রধান উপদেষ্টা আবু সাঈদের বাড়ির ভেতরে যান। তিনি আবু সাঈদের বাড়ির আঙিনায় প্রায় আধ ঘণ্টার মতো অবস্থান করেন।

সেখানে তিনি আবু সাঈদের বাবা-মা এবং পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন। আবু সাঈদের মা তার ছেলেকে হারানোর কথা তুলে ধরেন।

ড. ইউনূস আবু সাঈদের পরিবারের সদস্যদের সান্ত্বনা দেন।

পরে আবু সাঈদের বাবা-মা, পরিবারের সদস্য এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুই সমন্বয়ক অন্তবর্তী সরকারের দুই উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম এবং আসিফ মাহমুদকে নিয়ে জাতীয় পতাকা মেলে ধরেন ড. ইউনূস।

এ সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা আখতার হোসেন, সারজিস আলমসহ কয়েকজন সমন্বয়ক উপস্থিত ছিলেন।

আবু সাঈদের বাড়ি থেকে ড. ইউনুস বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় আহতদের দেখতে রংপুর মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতাল এবং বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) যাওয়ার কথা। আবু সাঈদ যেখানে গুলিবিদ্ধ হন সেই জায়গাটিও পরিদর্শন করবেন তিনি।

আবু সাঈদ রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার মদনখালী ইউনিয়নের বাবনপুরে গ্রামের মকবুল হোসেনের ছেলে। নয় ভাই-বোনের মধ্যে তিনি ছিলেন সবার ছোট।

১৬ জুলাই দুপুর আড়াইটার দিকে বেরোবিশ্বর সামনের সড়কে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশ ও ছাত্রলীগের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ১২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ও বৈষম্যবিরোধী কোটা আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আবু সাঈদ গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন।


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর