বৃহঃস্পতিবার, ৮ই মে ২০২৫, ২৫শে বৈশাখ ১৪৩২ | ই-পেপার
ব্রেকিং নিউজ:
  • সারাদেশে জেলা ও উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আগ্রহী হলে আপনার সিভি ই-মেইল করতে পারেন। ই-মেইল daajkaal@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
  • চীনের তৈরি HQ9 এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম প্রতিরক্ষা কাজে কতটা সক্ষম
  • প্রসেনজিতের মেয়ে প্রেম করছেন, ফুফু বললেন ‘খুব মিষ্টি’
  • ভারতের ২০টিরও বেশি বিমানবন্দর বন্ধ
  • বিশ্ব থ্যালাসেমিয়া দিবস আজ
  • সরকার কেন প্রত্যাশা পূরণ করতে পারছে না
  • সঙ্কটের সময় সর্বদলীয় বৈঠকে মোদি আসছে বড় সিদ্ধান্ত
  • পাকিস্তানি অভিনেত্রীকে দেখতে ভিপিএন কিনছে ভারতীয়রা
  • আ.লীগকে সুবিধা দেওয়ায় ইউনূস সরকারকে একহাত নিলেন হাসনাত
  • গাজায় ইসরায়েলি বর্বরতায় আরও ৫৪ ফিলিস্তিনি নিহত
  • বায়ুদূষণে শীর্ষে দিল্লি, ঢাকার অবস্থান পঞ্চম

শত ফিলিস্তিনির প্রাণের বিনিময়ে চার জিম্মিকে উদ্ধার করলো ইসরায়েল

ডেস্ক রির্পোট

প্রকাশিত:
৯ জুন ২০২৪, ১৫:২৯

শত শত ফিলিস্তিনিকে হত্যার মধ্য দিয়ে চার জিম্মিকে উদ্ধার করেছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী। মধ্য গাজা থেকে এই জিম্মিদের উদ্ধার করেছে তারা। কয়েক সপ্তাহব্যাপী পরিকল্পনার পর গাজার শরণার্থী শিবিরে অভিযান চালিয়ে তাদের উদ্ধার করা হয়েছে। সেই অভিযানে শিশুসহ ২১০ জন ফিলিস্তিনি মারা গেছেন।

চার জন জিম্মিকে উদ্ধার করা অবশ্যই ইসরায়েলিদের জন্য স্বস্তি খবর। কিন্তু ফিলিস্তিনিদের ওপর নৃশংস হত্যাকাণ্ড চালিয়ে তাদেরকে উদ্ধার করা হয়েছে। গাজার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, ঘনবসতিপূর্ণ নুসিরাত ক্যাম্পে ইসরায়েলি অভিযানে শিশুসহ ২১০ জন ফিলিস্তিনি মারা গেছেন।

দিনের বেলায় ‘সীডস অব সামার’ নামের এই অভিযান চালিয়ে গাজাবাসীকে চমকে দিয়েছে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী।

কারণ সকালের মাঝামাঝি সময়ে মানুষজন দোকানে কেনাকাটায় ব্যস্ত থাকেন। ওই এলাকায় ঢুকে অভিযান চালানো ইসরায়েলি স্পেশাল ফোর্সের জন্য শুধু যে ঝুঁকিপূর্ণ ছিল তা নয়, বের হওয়াটাও ঝুঁকিপূর্ণ ছিল।

ইসরায়েলি পুলিশ জানিয়েছে, ওই অভিযানে স্পেশাল ফোর্সের একজন কর্মকর্তা আহত হন। তারপর হাসপাতালে মারা যান তিনি।

১৯৭৬ সালে উগান্ডা থেকে ১০০ জন জিম্মিকে উদ্ধারের কথা উল্লেখ করে আইডিএফ এর প্রধান মুখপাত্র রিয়ার এডমিরাল ড্যানিয়েল হাগারি বলেন, ‘এটা এনটেবিতে যে রকম অভিযান ছিল সেরকমই একটা।’

তিনি আরো বলেন,একইসঙ্গে নুসিরাত ক্যাম্পের দুইটি আবাসিক অ্যাপার্টমেন্টে অভিযান চালিয়েছিল স্পেশাল কমান্ডোরা। ওখানে জিম্মিদের রাখা হয়েছে।

একটা অ্যাপার্টমেন্টে ২৬ বছর বয়সী জিম্মি নোয়া আরগামানি ছিল। অন্যটিতে ৪১ বছর বয়সী স্লোমি জিভ, ২৭ বছর বয়সী আন্দ্রে কজলভ ও ২২ বছর বয়সী আলমগ মির জেন ছিল।

হাগারি বলেন, তারা রুমে তালাবদ্ধ অবস্থায় ছিলেন। আর রক্ষীরা পাহারা দিচ্ছিলেন।

তিনি আরো বলেন, অভিযান চালিয়ে নিজেদের শরীর দিয়ে জিম্মিদের ঘিরে রাখে ইসরায়েলি কমান্ডোরা। বাইরে থাকা সামরিক গাড়িতে ওঠানোর আগে পর্যন্ত এভাবে তাদের নিরাপত্তা দেয়া হয়।

তিনি বলেন, চলে যাওয়ার সময় ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের প্রতিরোধের মুখোমুখি হয়েছিল তারা। বিস্তারিতভাবে অভিযানের পরিকল্পনা করেছিল ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী। এমনকি প্রশিক্ষণের জন্য অ্যাপার্টমেন্টের নমুনাও তৈরি করেছিল।

ঘটনাস্থল থেকে পাওয়া মোবাইল ফোনের ভিডিওতে দেখা গেছে, ক্ষেপণাস্ত্রের ও গোলাগুলির শব্দে আত্মরক্ষার জন্য সবাই নিচু হয়ে পড়েন। পরের ফুটেজে দেখা যায়, রাস্তায় মরদেহ ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে আছে।

নিহতের সংখ্যা একশরও কম হবে বলে মনে করেন হাগারি। কিন্তু হামাসের মিডিয়া অফিস বলছে, দুইশ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। হতাহতের সংখ্যা নিশ্চিত হতে পারেনি বিবিসি।


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর