বৃহঃস্পতিবার, ৮ই মে ২০২৫, ২৫শে বৈশাখ ১৪৩২ | ই-পেপার
ব্রেকিং নিউজ:
  • সারাদেশে জেলা ও উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আগ্রহী হলে আপনার সিভি ই-মেইল করতে পারেন। ই-মেইল daajkaal@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
  • চীনের তৈরি HQ9 এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম প্রতিরক্ষা কাজে কতটা সক্ষম
  • প্রসেনজিতের মেয়ে প্রেম করছেন, ফুফু বললেন ‘খুব মিষ্টি’
  • ভারতের ২০টিরও বেশি বিমানবন্দর বন্ধ
  • বিশ্ব থ্যালাসেমিয়া দিবস আজ
  • সরকার কেন প্রত্যাশা পূরণ করতে পারছে না
  • সঙ্কটের সময় সর্বদলীয় বৈঠকে মোদি আসছে বড় সিদ্ধান্ত
  • পাকিস্তানি অভিনেত্রীকে দেখতে ভিপিএন কিনছে ভারতীয়রা
  • আ.লীগকে সুবিধা দেওয়ায় ইউনূস সরকারকে একহাত নিলেন হাসনাত
  • গাজায় ইসরায়েলি বর্বরতায় আরও ৫৪ ফিলিস্তিনি নিহত
  • বায়ুদূষণে শীর্ষে দিল্লি, ঢাকার অবস্থান পঞ্চম

সংখ্যা বাড়িয়ে দর্শকের গালি খেতে রাজি নই

বিনোদন ডেস্ক

প্রকাশিত:
১৩ মার্চ ২০২৪, ১৩:৩৫

সপ্তাহখানেক হলো এখানে এসেছি। এখানে বেশ গরম পড়ছে। কয়েক দিনের মধ্যে গরম চলে যাবে। গরমের কারণে বাইরে বেড়াতে পারছি না। গরম চলে গেলে বিভিন্ন জায়গায় বেড়ানোর ইচ্ছা আছে। ঈদের আগে আগে দেশে ফেরার কথা আছে। কারণ, মুক্তির আগে–পরে ছবিটির প্রচার–প্রচারণায় থাকতে চাই।

অবশ্যই ভালো লাগার খবর এটি। একসময় বছরে অনেকগুলো ছবি মুক্তি পেত। এখন সেটি আর নেই। অনেক দিন ধরেই নিয়মিত অভিনয় করছি না। এ কারণে সিনেমাও ছিল না। ঈদে একটা সিনেমা মুক্তি পেতে যাচ্ছে। এটি অবশ্যই আমার জন্য খুশির খবর। একজন শিল্পীর ছবি যখন প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায়, অবশ্যই সেটি শিল্পীর জন্য আনন্দের। আর সেটি যদি ঈদ উৎসবে হয়, তাহলে সে আনন্দ দ্বিগুণ হয়ে যায়। তেমনটিই লাগছে আমার। তা ছাড়া ছটকু আহমেদের পরিচালনায় এটি আমার প্রথম কাজ। এ কারণে বাড়তি আগ্রহও কাজ করেছে।



একসময় তো নিয়মিতই নিজের ছবিসহ সহশিল্পীদের সিনেমাও প্রেক্ষাগৃহে বসে দেখা হতো। নিজের ছবি না থাকাসহ নানা কারণে সে অভ্যাস কিছুটা কমেছে। যেহেতু অনেক দিন পর আমার সিনেমা মুক্তি পাচ্ছে, অবশ্যই প্রেক্ষাগৃহে বসে ছবিটি দেখব।
এই ঈদে আরও অনেকগুলো বড় বাজেটের ছবি মুক্তি পাবে। সেই সব ছবির ভিড়ে
প্রথম আলো : ‘আহারে জীবন’ নিয়ে আপনার প্রত্যাশা কতটা?

প্রত্যাশা অনেক। কারণ, ছবিটি গুণী নির্মাতা ছটকু আহমেদ নির্মাণ করেছেন। করোনাকালের কাহিনি নিয়ে ছবির গল্প। করোনাকালের অনেক স্মৃতি জড়িয়ে আছে এই ছবিতে। ছবিতে আমার সহশিল্পী ফেরদৌস। সব মিলে ভালো একটি কাজ হয়েছে। প্রেক্ষাগৃহে বসে দর্শকেরা একটা ভিন্ন, পরিছন্ন গল্পের সিনেমা উপভোগ করতে পারবেন।



উপস্থাপনা আর সিনেমা তো এক নয়। সিনেমা একটা বড় পরিসরের কাজ। দর্শকের পছন্দের একটা ব্যাপার থাকতে হয়। আমি তো চাই-ই নিয়মিত কাজ করতে। কিন্তু সে ধরনের কাজ তো হাতে আসতে হবে। যেসব গল্প আসে, সেগুলোর অধিকাংশই আমার জন্য সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। চরিত্রের সঙ্গে আমাকে যাবে, সেটিও ভাবতে হবে। তেমন কাজ আসছে না। এলেও অনেক সময় পরিচালক পছন্দ হয় না। দেখা গেল, ছবি এসেছে, বাছবিচার না করেই দৌড়ে গিয়ে চুক্তি করে ফেললাম। ব্যাপারটি তা নয়। ছবির সংখ্যা বাড়িয়ে আমি দর্শকের গালি খেতে রাজি নই।

অনেক আগেই গাঙচিল ছবির কাজ শেষ হয়েছে। কিন্তু মুক্তির খবর জানি না। এটি প্রযোজক জানেন। জ্যাম ছবির শুটিংই শেষ হয়নি এখনো। সেই ২০১৯ সাল থেকে প্রায় ৩০ ভাগ কাজ আটকে আছে ছবিটির। এখন কবে আবার শুটিং শেষ হবে, সেটি আমার জানা নেই। আর আদৌ শুটিং হবে কি না, তা–ও বলতে পারি না। পরিচালক ও প্রযোজক ভালো বলতে পারবেন।


অবশ্যই ক্ষতিকর। বড় কথা, প্রযোজকের বিনিয়োগ আটকে যায়। এ ছাড়া ছবিসংশ্লিষ্ট সবারই ক্ষতি। দেখা যায়, এমন সময় ছবিটি মুক্তি পেল, তত দিনে শিল্পীর চেহারার পরিবর্তন হয়ে গেছে। ছবিতেও ‘পুরোনো’ তকমা লেগে যায়। দর্শক টানতে ব্যর্থ হয় সেই ছবি। প্রযোজক পুঁজি হারান। আবার শুটিং বাকি থাকা ছবির কাজ দীর্ঘদিন পর শুরু হলে অনেক সময় ধারাবাহিকতা মেলে না। শিল্পীর চেহারায়ও সেটার ছাপ পড়ে। দর্শক হলে বসে বুঝতে পারেন সেটা। সব মিলে সিনেমার ক্ষতি হয়।


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর