বৃহঃস্পতিবার, ৮ই মে ২০২৫, ২৫শে বৈশাখ ১৪৩২ | ই-পেপার
ব্রেকিং নিউজ:
  • সারাদেশে জেলা ও উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আগ্রহী হলে আপনার সিভি ই-মেইল করতে পারেন। ই-মেইল daajkaal@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
  • চীনের তৈরি HQ9 এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম প্রতিরক্ষা কাজে কতটা সক্ষম
  • প্রসেনজিতের মেয়ে প্রেম করছেন, ফুফু বললেন ‘খুব মিষ্টি’
  • ভারতের ২০টিরও বেশি বিমানবন্দর বন্ধ
  • বিশ্ব থ্যালাসেমিয়া দিবস আজ
  • সরকার কেন প্রত্যাশা পূরণ করতে পারছে না
  • সঙ্কটের সময় সর্বদলীয় বৈঠকে মোদি আসছে বড় সিদ্ধান্ত
  • পাকিস্তানি অভিনেত্রীকে দেখতে ভিপিএন কিনছে ভারতীয়রা
  • আ.লীগকে সুবিধা দেওয়ায় ইউনূস সরকারকে একহাত নিলেন হাসনাত
  • গাজায় ইসরায়েলি বর্বরতায় আরও ৫৪ ফিলিস্তিনি নিহত
  • বায়ুদূষণে শীর্ষে দিল্লি, ঢাকার অবস্থান পঞ্চম

৮০টির বেশি বিচিত্র দিবস চালু করেছেন এই দম্পতি

ডেস্ক রির্পোট

প্রকাশিত:
৯ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৬:৫০

১৯৮০-এর দশকের একদিন। ‘চেজে’স ক্যালেন্ডার অব ইভেন্টস’ নামে একটি বইয়ের পাতা ওলটাচ্ছিলেন টমাস রয়। সেটি ছিল মার্কিন প্রকাশনা সংস্থা ম্যাকগ্র হিলের বিভিন্ন বিচিত্র দিবসের সংকলনগ্রন্থ। বইয়ের শেষ দিকে এসে দেখলেন, সেখানে একটি ফরম দেওয়া আছে। কেউ যদি নতুন কোনো বিচিত্র দিবসের সুপারিশ করতে চান, তাহলে এই ফরমের মাধ্যমে দাখিল করতে পারবেন। টমাস ছাত্র হিসেবে ভালো ছিলেন না। কিন্তু তাঁর রসবোধ ছিল অসাধারণ। নিতান্ত মজার ছলেই তিনি ‘নর্দান হেমিস্ফেয়ার হুডি হু ডে’ নামে একটি দিবস ঠিক করে পাঠিয়ে দিলেন। ব্যাপারটি ছিল, দুই হাত ওপরের দিকে তুলে চিৎকার করে ‘হুডি হু’ বলে শীতকে বিদায় দিয়ে বসন্তকে বরণ করে নেওয়া। তারিখ ২০ ফেব্রুয়ারি। তারপর ‘চেজে’স ক্যালেন্ডার অব ইভেন্টস’-এর পরবর্তী মুদ্রণের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করতে লাগলেন। সংস্করণ বের হলো। উচ্ছ্বসিত হয়ে লক্ষ করলেন, দিবসটি তাতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।


এখানেই শেষ নয়। সত্যিই যখন ২০ ফেব্রুয়ারি দিনটি এল, রীতিমতো চমকে গেলেন টমাস। দেখা গেল, দিনটি নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ইউএসএ টুডের মতো পত্রিকা। মার্কিন রেডিও সম্প্রচারজগতের অন্যতম পথিকৃৎ পল হার্ভির আলোচনাতেও উঠে এসেছে এই দিবস। রেডিও-টেলিভিশনের অনুষ্ঠান ও টক শো উপস্থাপনার সূত্রে টমাস তখন মোটামুটি জনপ্রিয়। কিন্তু এই ঘটনা তাঁকে মুহূর্তের মধ্যে তারকা বানিয়ে দিল। তিনিও বেশ মজা পেয়ে গেলেন। স্ত্রী রুথ রয়কে নিয়ে একের পর এক অদ্ভুতুড়ে দিবসের চল করতে লাগলেন। লস অ্যাঞ্জেলেস টাইমস, ইউএসএ টুডে, ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল, সিডনি মর্নিং হেরাল্ড, ওয়াশিংটন পোস্ট প্রভৃতি বিশ্বখ্যাত গণমাধ্যমের প্রথম পাতায় ছাপা হতে লাগল সেসব দিবসের খবর। বিশ্বের বিভিন্ন দেশেও দিবসগুলো ধীরে ধীরে জনপ্রিয় হতে লাগল।


একপর্যায়ে এই দম্পতি ওয়েলক্যাট নামে একটি বিচিত্র দিবস উদ্ভাবনকারী প্রতিষ্ঠান চালু করেন। এখন পর্যন্ত ৮০টির বেশি কপিরাইটভুক্ত দিবস চালু করেছেন তাঁরা। এর মধ্যে অনেকগুলো আমাদের দেশেও বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে। যেমন সিঙ্গেল মানুষদের জন্য সিঙ্গেলেই সুখী দিবস (স্যাটিসফায়েড স্টেয়িং সিঙ্গেল ডে), বেমানান-বেখাপ্পা মানুষদের জন্য ‘বি আ ডর্ক ডে’, টাক মাথার মানুষদের জন্য টাক হোন, মুক্ত থাকুন দিবস (বি বোল্ড অ্যান্ড বি ফ্রি ডে), উদাসীন মানুষদের জন্য উদাস দিবস। তাঁদের উদ্ভাবিত যন্ত্রণা দিবস, বাজে দিবস, সত্য স্বীকারোক্তি দিবস, ঘরের কাজ না করা দিবস, যা খুশি তা খাওয়া দিবস, সময় শেষ দিবস, গতানুগতিক দিবসের মতো এমন অনেক মজাদার দিবস


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর