বৃহঃস্পতিবার, ৮ই মে ২০২৫, ২৫শে বৈশাখ ১৪৩২ | ই-পেপার
ব্রেকিং নিউজ:
  • সারাদেশে জেলা ও উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আগ্রহী হলে আপনার সিভি ই-মেইল করতে পারেন। ই-মেইল daajkaal@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
  • চীনের তৈরি HQ9 এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম প্রতিরক্ষা কাজে কতটা সক্ষম
  • প্রসেনজিতের মেয়ে প্রেম করছেন, ফুফু বললেন ‘খুব মিষ্টি’
  • ভারতের ২০টিরও বেশি বিমানবন্দর বন্ধ
  • বিশ্ব থ্যালাসেমিয়া দিবস আজ
  • সরকার কেন প্রত্যাশা পূরণ করতে পারছে না
  • সঙ্কটের সময় সর্বদলীয় বৈঠকে মোদি আসছে বড় সিদ্ধান্ত
  • পাকিস্তানি অভিনেত্রীকে দেখতে ভিপিএন কিনছে ভারতীয়রা
  • আ.লীগকে সুবিধা দেওয়ায় ইউনূস সরকারকে একহাত নিলেন হাসনাত
  • গাজায় ইসরায়েলি বর্বরতায় আরও ৫৪ ফিলিস্তিনি নিহত
  • বায়ুদূষণে শীর্ষে দিল্লি, ঢাকার অবস্থান পঞ্চম

জুনাইদ আহমেদ পলক

সাইবার জগৎ নিরাপদ রাখতে বাংলাদেশ-ভারত একসঙ্গে কাজ করবে

স্টাফ রিপোর্টার

প্রকাশিত:
৪ অক্টোবর ২০২৩, ১৫:১৩

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, শুধু দুই প্রতিবেশী দেশ নয়, গোটা বিশ্বের সাইবার জগৎ নিরাপদ রাখতে বাংলাদেশ ও ভারত একসঙ্গে কাজ করবে। আমরা যেভাবে পারস্পারিক সহযোগিতার মাধ্যমে দুই দেশ থেকে জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাস নির্মূল করেছি তেমনিভাবে সাইবার হামলা ও হুমকি মোকাবিলা করে সাইবার জগতকে নিরাপদ রাখব

প্রতিমন্ত্রী বুধবার (৪ অক্টোবর) ঢাকায় বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি) মিলনায়তনে বাংলাদেশ ও ভারতের সহযোগিতামূলক যৌথ উদ্যোগের অংশ হিসেবে সাইবার-মৈত্রী ২০২৩ শীর্ষক কর্মসূচির আওতায় তিন দিনব্যাপী প্রশিক্ষণের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

পলক বলেন, প্রতিবেশী বন্ধু রাষ্ট্র যদি শক্তিশালী হয় এবং সেই রাষ্ট্র যদি পাশে থাকে তখন আমাদের আত্মবিশ্বাস বেড়ে যায়। বাংলাদেশ ও ভারত যখন একসঙ্গে শত্রুর মোকাবিলা করে তখন লড়াই অনেক সহজ হয়। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশ ও ভারত একসঙ্গে যুদ্ধ করেছে। কোভিড-১৯ মহামারি একসঙ্গে মোকাবিলা ও ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণেও দুই দেশ একসঙ্গে কাজ করেছে। আগামীতে স্মার্ট বাংলাদেশ ২০৪১ ভিশন বাস্তবায়নে আমরা একসঙ্গে কাজ করবো।

ভারতের সাইবার ইমার্জেন্সি রেসপন্স টিমকে (সিইআরটি) পাশে পেয়ে সাইবার হামলা মোকাবিলা ও অপরাধ দমনে আমরা অনেকটাই আত্মবিশ্বাসী বলে তিনি জানান।

আইসিটি প্রতিমন্ত্রী বলেন, বর্তমান আন্তঃসংযুক্তির বিশ্বে প্রযুক্তি রৈখিক গতির পরিবর্তে সূচকীয় গতিতে অগ্রসর হচ্ছে এবং তা আমাদের জন্য বিশাল সম্ভাবনা ও সুযোগ তৈরি করছে। এর পাশাপাশি সাইবার জগতের কার্যক্রম নিরবচ্ছিন্ন রাখার ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জ তৈরি করছে। এমন বাস্তবতায় সাইবার হামলা ও হুমকি মোকাবিলায় সাইবার মৈত্রীর মতো আরও উদ্যোগ গ্রহণের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে বলে তিনি জানান।

তিনি তিনদিন ধরে প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণকারীদের নিষ্ঠার সঙ্গে প্রশিক্ষণ গ্রহণের প্রশংসা করে বলেন, আপনাদের প্রতিশ্রুতি ও প্রচেষ্টায় আমাদের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য অবকাঠামো সাইবার আক্রমণ থেকে সুরক্ষায় ভালো অবদান রাখবে।

বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্ক এখন নতুন উচ্চতায়। দুই দেশের মধ্যে কানেক্টিভিটি, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, সাইবার সিকিউরিটি, স্টার্টআপসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতামূলক সম্পর্ক সম্প্রসারিত হয়েছে। বাংলাদেশ ও ভারত আগেই তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, সাইবার সিকিউরিটির ক্ষেত্রে সহযোগিতামূলক সম্পর্ক বাড়াতে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছে। এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশের বিজিডি ই-গভ সার্ট এবং ভারতের সার্টের যৌথ উদ্যোগে তিনদিনের সাইবার মৈত্রী অনুষ্ঠিত হলো। ভবিষ্যতে সাইবার জগতে সক্ষমতা বৃদ্ধিতে এ ধরনের সহযোগিতামূলক উদ্যোগে অব্যাহত থাকবে বলেও তিনি জানান।

বিসিসি’র নির্বাহী পরিচালক রনজিত কুমারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন আইসিটি বিভাগের সচিব মো. সামসুল আরেফিন, সিইআরটি, ইন্ডিয়ার সিনিয়র ডিরেক্টর এস এস শর্মা।

বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নের এনহান্সিং ডিজিটাল গভর্নমেন্ট অ্যান্ড ইকোনমি (ইডিজিই) প্রকল্প আয়োজিত তিন দিনের প্রশিক্ষণে বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য অবকাঠামোতে কর্মরত আইটি-সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ দেন ভারতের সিইআরটি’র বিশেষজ্ঞরা। বাংলাদেশের ৩২টি সিআইআই থেকে ৬৪ জন এ অনুশীলনে অংশ নেন।


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর